নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ৩১, ২০২১
০৩:১৩ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ০১, ২০২১
০১:০৭ পূর্বাহ্ন
দেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট সিলেটের রাতারগুল এবার ভূমিকম্পের নতুন উৎপত্তিস্থল হিসেবে পরিণত হয়েছে। গত শনিবার (২৯ মে) আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে সিলেট চার দফা ভূমিকম্পের অন্যতম একটির উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেট নগরের অদূরের এই জলাবন।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী এই তথ্য জানিয়েছেন।
সিলেটে চারদফা ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার প্রেক্ষিতে রবিবার (৩০ মে) অনুষ্ঠিত জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় বিষয়টি তুলে ধরেন সিনিয়র এই আবহাওয়াবিদ। একই সঙ্গে আগামী সপ্তাহে সিলেটের জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট উপজেলায় ভারি বৃষ্টিপাত ও বন্যা হওয়ার পূর্বাভাস দেন তিনি।
সিলেটের জেলা প্রশাসক ও কমিটির সভাপতি এম কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ভূমিকম্প ও বন্যা পরবর্তি করণীয় ব্যাপারে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় বক্তব্য দেন সিলেট সেনানিবাসের লে. কর্নেল জাহিদ, সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল, বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক আব্দুল্লাহ মো. তারিক, পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক ইমরান হোসেন, সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ, সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুহুল আলম, সিলেট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন, সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনু, সিলেট ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো, আনিসুর রহমান, কলামিষ্ট আফতাব চৌধুরী, ইমজার সাধারণ সম্পাদক আনিস রহমান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এএইচএম মাহফুজুর রহমান, সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান, র্যাবের এএসপি ওবাইন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সিলেট প্রতিনিধি মুক্তাদির আহমদ মুক্তা ছাড়াও প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা।
সভায় বক্তারা ভূমিকম্পে করণীয় ব্যাপারে জনসাধারণকে সচেতনার জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালানো ও নগরের ঝুঁকিপুর্ণ ভবন ও মার্কেটের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
দূর্যোগ ব্যবস্পনায় সবধরণের সহযোগিতা প্রদানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান লে. কর্নেল জাহিদ।
সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুহুল আলম সিসিকের প্রস্তুতির বিষয়টি তুলে ধরেন।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন বন্যা পরবর্তি পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাদের প্রস্তুতির ব্যাপারে অবহিত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম ভূমিকম্প ও বন্যা পরবর্তি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে আগাম প্রস্তুতি রাখার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে এ ব্যাপারে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
আরসি-০৩