দুই হাজার শয্যায় উন্নীত হচ্ছে ওসমানী হাসপাতাল

নিজস্ব প্রতিবেদক


মে ২৫, ২০২১
০৪:২০ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ২৫, ২০২১
০৪:২২ পূর্বাহ্ন



দুই হাজার শয্যায় উন্নীত হচ্ছে ওসমানী হাসপাতাল
# শয্যা বাড়ছে ১১শটি, শাহী ঈদগায় হবে দ্বিতীয় ইউনিট # স্থাপন হবে ১০ হাজার লিটারের অক্সিজেন প্ল্যান্ট # নিউরো সার্জারি ও বার্ন ইউনিট চালু নিয়ে আলোচনা

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ৯০০ শয্যা থেকে ২০০০ শয্যায় উন্নীতকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হাসপাতালে ১০ হাজার লিটার অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন, শাহী ঈদগাহ সংলগ্ন সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল চত্বরে ওসমানী হাসপাতালের ২য় ইউনিট স্থাপনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত রবিবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির ৬ষ্ঠ সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। 

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় জানানো হয়, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য প্রস্তাবিত দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপনে নগরের শাহী ঈদগাহ সংলগ্ন সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল এলাকা পরিদর্শন করে ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সভায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিউরো সার্জারি ও বার্ন ইউনিট চালু নিয়ে আলোচনা হয়। 

সভায় হাসপাতালের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারকে উৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে সাতটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের তুলনায় এ হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের খরচ অনেক কম। স্বল্পমূল্যের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের সুযোগের বিষয়টি সাধারণ মানুষ জানেন না। এছাড়া হাসপাতাল চত্বরে একইসঙ্গে পাঁচটির বেশি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় জানানো হয়, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।  

সভায় বক্তারা আগামী ৫০ বছরকে সামনে রেখে সিলেটের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের প্রতি আহবান জানান।

এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার দেশের প্রত্যেক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চায়। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক। সিলেট জেলা হাসপাতালের কাজ এগিয়ে চলছে, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের কাজও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ওসমানী হাসপাতাল সম্প্রসারিত হলে স্থানীয় লোকজনের চিকিৎসাসেবা পাওয়া অনেকটা সহজ হবে।’ এ ব্যপারে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। 

ভার্চ্যুয়াল সভায় সংযুক্ত ছিলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মুর্শেদ আহমদ চৌধুরী, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান, মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ, ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. ময়নুল হক, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান বঙ্কিম হালদার, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিনী সেলিনা মোমেন, ওসমানী হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মো. সুয়েব, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ মো. রেনু, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত পুরকায়স্থ জুয়েলসহ গণপূর্ত ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা। 

সভার বিষয়ে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় সিলেট মিররকে বলেন, ‘বর্তমানে হাসপাতালে ৯০০ শয্যা রয়েছে। আরও ১১০০ শয্যা বাড়িয়ে এটিকে দুই হাজার শয্যায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালের ২য় ইউনিটের জন্য শাহী ঈদগাহ সংক্রামকব্যাধি হাসপাতালের চত্বরকে নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা দাবি জানাব দ্বিতীয় ইউনিটে আরও ১ হাজার শয্যার ব্যবস্থা করতে।’

এনএইচ/আরসি-০২