সিলেট মিরর ডেস্ক
মে ২৫, ২০২১
১২:৩৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ২৫, ২০২১
১২:৩৬ পূর্বাহ্ন
যুক্তরাজ্য প্রবাসী আছমত আলীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন তারই আত্মীয় সিলেটের সাগরদিঘীরপারের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে কবির আহমদ। তিনি দাবি করেন, সরল মনে আছমতকে বিশ্বাস করার খেসারত দিতে হচ্ছে তাকে। আছমত প্রতারণার পাশাপাশি হয়রানি করতে মামলা দায়ের এবং নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। একই সঙ্গে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারও করছেন বলে দাবি করেন কবির। সোমবার (২৪ মে) সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ২০০৫ সালে সিলেট সদর উপজেলার বাগবাড়ীতে আছমত আলী তার মালিকানাধীন সাড়ে তিন শতক জমি বিক্রির প্রস্তাব দিলে সরল মনে জমির মূল্য বাবদ কয়েক দফায় তাকে ২৫ লাখ টাকা প্রদান করি।’
টাকা পাওয়ার পর মাঠপর্চায় ভূমির মালিকানার জায়গায় আমার নাম অন্তভুর্ক্ত করার পাশাপাশি পরবর্তীতে দলিল রেজিস্ট্রি করে দিবেন এমন প্রতিশ্রæতি দেন আছমত আলী।
কবির আহমদ বলেন, উক্ত জায়গার উপর নির্মিত বাসার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও হোল্ডি ট্যাক্স আমার নামে রয়েছে। আমি নিয়মিত বিল পরিশোধ করে আসছি। বাসা ভাড়া দিয়ে ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে নিয়মিত ভাড়াও গ্রহণ করছি। সবকিছু ঠিকঠাক চললেও আছমত হঠাৎ করে চতুরতার আশ্রয় নিয়ে সেখানে নির্মিত বাসাটি তার বলে দাবি করেন। পাশাপাশি ওই বাসায় তাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে ২০১৯ সালে কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেন। তবে তার অভিযোগের কোনো সত্যতা পায়নি পুলিশ।’
কবির আরও বলেন, ‘সম্প্রতি প্রবাসী আছমত সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করেন বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিলের জন্য নাকি আমাকে তিনি চেক প্রদান করেছিলেন। এর আগে ছাতক থানায় তার দায়ের করা সাধারণ ডায়েরিতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন ব্যাংক লোন পাইয়ে দেওয়ার জন্য নাকি আমাকে ৫টি ব্ল্যাঙ্ক চেক দেন। তার এ সকল অসংলগ্ন কথাবার্তাই প্রমাণ করে তিনি মিথ্যাচার করছেন। তিনি একেক জায়গায় একেক ধরনের কথা বলে যাচ্ছেন। সবশেষ গত গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আমাকেসহ ৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন আছমত। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন তার সাইন করা ৫টি ব্ল্যাঙ্ক চেক নাকি আমাকে দিয়েছিলেন।’
এ মামলায় তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন দাবি করে লিখিত বক্তব্যে কবির বলেন, ‘মূলত ব্যবসায়ীক অজুহাতে বিভিন্নজনের নিকট থেকে তিনি ঋণ নিয়েছিলেন। তার বদলে তাদেরকে চেক প্রদান করেন। কিন্তু পাওনাদাররা ব্যাংকে চেক জমা দিলে তা পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় ফেরত আসে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীরা আছমত আলীর বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা করেন। এছাড়াও আছমত আলী যুক্তরাজ্যে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন সময়ে অনেকের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ গ্রহণ করেছেন এমন অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।’
তিনি আরও বলেন, আছমতকে জমির মূল্য বাবদ ২৫ লাখ টাকা প্রদান করলেও এখন তিনি বলছেন তাকে আরও ২০ লাখ টাকা দিতে হবে। তাহলেই তিনি জায়গা রেজিস্ট্রি করে দিবেন। আছমত আলী আমাকে জায়গা রেজিস্ট্রি করে না দিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন। এমনকি সন্ত্রাসী দিয়ে আমাকে হুমকি দিচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে হেয় করছেন। আছমতের এমন অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে সকল মহলের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
বিএ-০৬