‌‘ছেলে হত্যার ন্যায় বিচার না পেলে টিলাগড়েই আত্মহত্যা করব’

নিজস্ব প্রতিবেদক


মে ১৮, ২০২১
০২:৫৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ১৮, ২০২১
১১:৪১ অপরাহ্ন



‌‘ছেলে হত্যার ন্যায় বিচার না পেলে টিলাগড়েই আত্মহত্যা করব’

ছেলে হত্যার ন্যায় বিচার না পেলে প্রয়োজনে টিলাগড়েই আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন নিহত ছাত্রলীগ কর্মী অভিষেক দে দ্বীপের বাবা দীপক দে। সোমবার (১৭ মে) বিকেল চারটায় নগরের টিলাগড় পয়েন্টে নিহত দ্বীপের ১৯ তম জন্মদিনে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন। 

মানববন্ধনে তিনি বলেন, ‘জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও ছেলে হত্যার বিচার চাইবো। হত্যাকারীদের আর কত লাশ প্রয়োজন। আমার কলিজার টুকরা ছেলে হত্যার বিচার চাই, জীবনে আর কিছু চাওয়ার নেই। আজকে দ্বীপের ১৯তম জন্মদিন অথচ রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছেলে হত্যাকারীদের বিচার চাইতে হচ্ছে।’

কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, ‘অনেক পরিবারে ছেলে সন্তানকে নিয়ে মা-বাবা জন্মদিন পালন করছে। আমাদের কপালে তো আর সেটা নেই। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে আজ আমরা বাকরুদ্ধ। প্রায় ১৫ মাস থেকে আমরা ছেলের কাছ থেকে মা-বাবা বলে ডাক শুনতে পাই না। এরপরেও আসামীরা হুমকি দেয়। মামলা তুলে নিতে বাড়ি-গাড়ি দেওয়ার প্রস্তাব করে। একটি স্বাধীন দেশে একটা টগবগে তরুণকে হত্যা করে ঘাতকরা ঘুরে বেড়াবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। ন্যায় বিচারের আশায় আমরা এখনও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বসে আছি।’ তিনি অবিলম্বে তাদের ছেলে দ্বীপ হত্যার বিচার দাবি করে বলেন, ‘অন্যতায় এই টিলাগড়েই আত্মহুতি দিব আমরা।’

এসময় নিহত দ্বীপের মা অনিতা দে কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীও একজন স্বজনহারা মানুষ। স্বজন হারানোর বেদনা তিনি বুঝেন। আমরা আমাদের স্বজনকে হারিয়েছি। তিনি আমাদের ন্যায় বিচার দিবেন। এই আশায় আমরা বুক বেঁধে বসে আছি।’

মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগ নেতা মুহিবুর রহমান মুহিব আহমদ, অরুণা দে, মদন দে, বিজয় দে, মুন্না ঘোষ, মুর্শেদ আহমদ, আমির হামজা অমর, অপু সিংহ, সৌরভ সরকার, নিলয়, অঙ্গরাজ দ্বীপ, সিয়াম, হাসনাত, শুভ কর, আদিত্য দাস প্রমুখ।  

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে স্বরস্বতী পূজার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব ও সিনিয়র-জুনিয়র বিরোধের জেরে নিহত হন কলেজ ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী অভিষেক দে দ্বীপ। নিহত দ্বীপ গ্রিনহিল স্টেট কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এ ঘটনার দুদিন পর দ্বীপের পিতা দিপক দে বাদী হয়ে ৮ ফেব্রæয়ারি সমুদ্র সৈকতকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে শাহপরাণ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ১১ মাস তদন্তের পর গত বছরের ২২ নভেম্বর সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শাহপরাণ থানা পুলিশ এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে।

বিএ-০৮