নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ১২, ২০২১
১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ১২, ২০২১
১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ২০১৫ সালের ১২ মে সকালে। আজ বুধবার (১২ মে) এ হত্যাকাণ্ডের ছয় বছর পূর্ণ হয়েছে।
যুক্তিনির্ভর লেখালেখির কারণে উগ্রবাদীরা তাকে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে বলে পরিবারের সদস্য ও সহকর্মীরা দাবি করলেও আজও শেষ হয়নি বিচার কার্যক্রম। সাক্ষ্যগ্রহণে দীর্ঘসূত্রিতায় দীর্ঘদিন ধরে আদালতে চলতে থাকা এ মামলায় দ্রুত বিচার পাওয়ার আশায় রয়েছেন অনন্ত বিজয়ের পরিবারের সদস্য, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলার ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহন সম্পন্ন হয়েছে।
পেশায় ব্যাংকার এ লেখক বিজ্ঞানমনস্ক ও যুক্তিনির্ভর বই লেখার পাশাপাশি লিখতেন মুক্তমনা ব্লগে, সম্পাদনা ও প্রকাশ করতেন ‘যুক্তি’ নামের একটি ম্যাগাজিন এবং জড়িত ছিলেন গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের সঙ্গে।
২০১৫ সালের এইদিনে সিলেট নগরের সুবিদবাজারের কলাপাড়া এলাকার নিজ বাসার সামনে খুন হন অনন্ত বিজয় দাশ। হত্যাকাণ্ডের এক দিন পর অনন্তের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ বাদী হয়ে সিলেট বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এতে বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখির কারণে অনন্তকে ‘উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী’ পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়।
মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের মধ্যে কানাইঘাটের আবুল হোসেন (২৫), খালপাড় তালবাড়ির ফয়সাল আহমদ (২৭) ও সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বিরেন্দ্রনগরের (বাগলী) মামুনুর রশীদ (২৫) পলাতক। কানাইঘাটের পূর্ব ফালজুর গ্রামের মান্নান ইয়াইয়া ওরফে মান্নান রাহী ওরফে এ বি মান্নান ইয়াইয়া ওরফে ইবনে মঈন (২৪) মৃত্যুবরণ করেছেন। আরেক আসামি সিলেট নগরের রিকাবীবাজার এলাকায় বসবাসকারী সাফিউর রহমান ফারাবী ওরফে ফারাবী সাফিউর রহমান (৩০)। তিনি ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলারও আসামি।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবীরা জানান, ২০১৯ সালের ৭ মে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। কিন্তু সাক্ষীদের অনুপস্থিতির কারণে বারবার পেছানো হয় সাক্ষ্য গ্রহণ। দীর্ঘদিন সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলার পর মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আলোচিত এ মামলায় এ পর্যন্ত ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। বাকি ১০ জনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তিনজন সাক্ষী রয়েছেন। এই তিনজন হচ্ছেন সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান চিকিৎসক, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একজন পরিদর্শক ও সিআইডির তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।'
এনএইচ/আরসি-০৪