নিজস্ব প্রতিবেদক
এপ্রিল ২০, ২০২১
০৭:৫৬ অপরাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ২০, ২০২১
১১:০৭ অপরাহ্ন
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে চলছে কঠোর লকডাউন। লকডাউনে রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে সিলেটে ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার থেকেই নগরের প্রায় ১৪টি পয়েন্টে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবারও নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় বাঁশের ব্যারিকেড রয়েছে। তবুও ঘর থেকে বের হওয়া মানুষের সংখ্যা কমানো যায়নি। ফলে প্রধানসড়কগুলো ছেড়ে চাপ বেড়েছে অলিগলিতে।
আজ মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সকাল থেকে বেলা ১ টা পর্যন্ত নগরের আম্বরখানা, চৌহাট্টা, লামাবাজার, বন্দরবাজার, ক্বীন ব্রীজের মুখসহ বিভিন্ন এলাকায় বাঁশ ফেলে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে। এসব পয়েন্টে পুলিশের কড়া অবস্থানও লক্ষ্য করা যায়। অপ্রয়োজনে এবং মুভমেন্ট পাস ছাড়া যারা বের হয়েছেন তাদের এসব ব্যারিকেডে আটকে দেওয়া হচ্ছে।যারা আটকে পড়ছেন তাদের অনেকেই যানবাহন ছেড়ে দিয়ে হেটে রওয়ানা হন। তবে জরুরি যানবাহন ও মুভমেন্ট পাস নিয়ে আসা যানবাহন ছেড়ে দিতে রাস্তার কিছু অংশ ফাক রাখা হয়েছে।
এদিকে ব্যারিকেড বা পুলিশের কড়া অবস্থানেরও পরও অনেক মানুষ ও যানবাহন নগরে বের হয়েছে। এর মধ্যে রিকশার আধিক্য ছিল বেশি। প্রধান প্রধান সড়ক বন্ধ থাকার কারণে নগরের অলি গলিতে চাপ বেড়েছে যানবাহনের।
নগরের কুয়ারপাড় এলাকা থেকে চৌহাট্টায় যাবেন ইশমাম আহমেদ৷ রিকশা করে আসার পর দেখেন৷ লামাবাজারে ব্যারিকেড দেওয়া। এসময় তিনি সিলেট মিররকে বলেন, 'জরুরি কাজের জন্য চৌহাট্টায় যেতে রিকশায় উঠেছিলাম। তবে লামাবাজার এলাকায় পুলিশের ব্যারিকেড দেখে রিকশা ঘুরিয়ে দাড়িঁয়াপাড়া হয়ে যাব।'
এদিনও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, ফার্মেসী এবং কাঁচাবাজার ছাড়া নগরের সব শপিং মল ও মার্কেট বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু দোকানপাট অর্ধেক সাটার খুলে ব্যবস্যা পরিচালনা করছে। এছাড়া লকডাইনে সরকারের নির্দেশ মেনে বন্ধ রয়েছে দূর পাল্লার বাস৷ তবে পন্যবাহী ট্রাক চলাচল করছে।
এদিকে লকডাউনের অন্যান্য দিনের মতো এদিনও রাস্তায় হকারদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। অনেকেই এসব ভাসমান দোকান থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসষপত্র ক্রয় করছেন।
এনএইচ/আরসি-০৮