জৈন্তাপুর প্রতিনিধি
এপ্রিল ২০, ২০২১
০৪:০৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ২০, ২০২১
০৪:০৪ পূর্বাহ্ন
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার চতুল বাজারে এক ব্যবসায়ীর নিকট চাঁদা দাবি করে তা না পাওয়ায় জনসম্মুখে দোকান ভাঙচুর করেছে চাঁদাবাজ ভূমিখেকো চক্র। এছাড়া মামলা তুলে নিতে ওই ব্যবসায়ীকে প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছে চক্রটি। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মামলার বাদী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১ এপ্রিল কানাইঘাট উপজেলার রাউতগ্রামের মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে আব্দুর রকিব এবং মার্কেটের মালিক মার্কেট দেখাশোনা করতে গেলে প্রভাবশালী, দাঙ্গাবাজ ও ভূমিখেকো প্রকৃতির লোক ইন্দ্রকোনা গ্রামের মৃত আলাউর রহমানের ছেলে মুহিবুল হক (৪৫), মৃত একরাম আলীর ছেলে হবিব উল্লাহ (৫১), হারাতৈল বেতু গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মনির উদ্দিন (৫০), নুরপুর গ্রামের মৃত ইনছান আলীর ছেলে নুর ইসলাম (৩৪), শফিক (৩৫), রাউতগ্রামের মৃত গণেশ নমসূদ্র’র ছেলে পবিত্র নমসূদ্র (২৬), সরুখেল গ্রামের মৃত কটমনি দাসের ছেলে ধন দাস (৩০), জাকারিয়া (২৯), মোস্তফা আনোয়ার জুয়েল (২৮), নোমান রশিদ (৩০), মামুন রশিদ (৩৪) ও অন্যান্য আসামিরা পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক দলবদ্ধ হয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মুহিবুল হক, হবিব উল্লাহ এবং মনির উদ্দিন গালিগালাজ করে এবং মার্কেট ভেঙে ফেলার হুমকি দেয়। পরদিন ২ এপ্রিল সকাল ৭টায় মুহিবুল হক, হবিব উল্লাহ এবং মনির উদ্দিন দলবল নিয়ে বাদীর মার্কেটে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
মার্কেট ভাঙচুরের ঘটনায় আব্দুর রকিব বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আদালত, সিলেটে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনের ২০০২ এর ২, ৪ ও ৫ ধারা মোতাবেক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন (নম্বর-১৩/২০২১)। ওই অভিযোগ দায়ের করার পর বিবাদীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং মার্কেটের মালিক ও বাদীকে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে আসছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী। অব্যাহত হুমকির কারণে তিনি পরিবার নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বলেও জানান।
এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মন্তাজ আলী ও রাউত গ্রামের আব্দুল জলিল জানান, আব্দুর রকিবের নিজস্ব মালিকানাধীন জায়গার উপর তার দোকান রয়েছে। প্রতিপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে আব্দুর রকিবকে হয়রানি করে আসছে। ঘটনার দিন সকালে প্রতিপক্ষ তাদের সম্মুখে দোকানঘরটি ভাঙচুর করেছে।
চতুল বাজার এলাকার সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আলম মিয়া বলেন, 'আমরা দীর্ঘদিন ধরে আব্দুর রকিব ভাইয়ের মার্কেটে অফিস করে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছি। প্রতিপক্ষের লোকজন তার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা না দেওয়ায় মার্কেটের দোকান প্রকাশ্যে ভাঙচুর করেছে।
এ বিষয়ে ওই মার্কেটের সাবেক ব্যবসায়ী স্থানীয় ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া আলম বলেন, 'প্রতিপক্ষের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের মাধ্যমে আমরা তাদের বিরোধ নিষ্পত্তি করে দিয়েছি। পরে আমি জানতে পারলাম প্রতিপক্ষ গত ২ এপ্রিল লোকজন নিয়ে এসে দোকানঘর ভাঙচুর করেছে।'
আরকে/আরআর-০৫