উজ্জ্বল ধর, ওসমানীনগর
এপ্রিল ২০, ২০২১
০৩:০৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ২০, ২০২১
০৬:০৯ পূর্বাহ্ন
‘সর্বাত্মক লকডাউন’ মানছেন না সিলেটের ওসমানীনগরের সাধারণ মানুষ। উপজেলার বাজারগুলোর অবস্থা দেখে বোঝার উপায় নেই যে লকডাউন চলছে। সর্বত্র দেখা গেছে মাস্কবিহীন মানুষের অবাধ চলাচল। লকডাউন কার্যকরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকলেও নানা ‘অজুহাতে’ বাইরে বের হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) উপজেলার গোয়ালাবাজার, তাজপুর, দয়ামীরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা। অন্যান্য দিনের তুলনায় মানুষের উপস্থিতি অনেক বেশি। সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও প্রাইভেট গাড়ি অবাধে চলাচল করেছে। সব ধরনের দোকানপাটও খোলা ছিল। উপজেলার গোয়ালাবাজারে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অবাধে কেনাকাটা করেছেন। ফুটপাতের ভাসমান দোকানও খোলা ছিল।
অভিযোগ রয়েছে, লকডাউনে মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের জিম্মি করে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে তারা প্রতিটি গাড়িতে ৫ জন করে যাত্রী বহন করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অটোরিকশাচালক নুনু মিয়া জানান, যাত্রী কম এবং রিস্ক বেশি থাকায় তারা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন। সর্বত্র মানুষের অবাধ চলাচল থাকার পরও যাত্রী কম কীভাবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, 'বিশ্বাস করুন ওসমানীনগরে লকডাউন চলছে। লকডাউনে লোকজন কম চলাচল করবে- এটাই নিয়ম।'
এদিকে, সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। লোকজনকে সচেতন করার পাশাপাশি এসব অভিযানে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই যেন সাধারণ মানুষকে ঘরে আটকে রাখা যাচ্ছে না।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক বলেন, 'সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকরে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। কারণ ছাড়া কোনো গাড়িই ওসমানীনগরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সিলেট জেলার প্রবেশমুখ শেরপুর টোলপ্লাজায় পুলিশ ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি উপজেলার সর্বত্র পুলিশের একাধিক ভ্রাম্যমাণ টিম অভিযান পরিচালনা করছে।'
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. তাহমিনা আক্তার বলেন, 'দেশে ক্রমেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বাড়ছে। এ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে। কিন্তু লোকজন সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে রাস্তাঘাটে চলাচলসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে বেচাকেনার চেষ্টা করছেন। সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সবাইকে সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনে জরিমানাও করা হচ্ছে। লকডাউন কার্যকরে প্রয়োজনে প্রশাসন আরও কঠোর হবে।'
ইউডি/আরআর-০১