নিজস্ব প্রতিবেদক
এপ্রিল ১৯, ২০২১
০৪:০০ পূর্বাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ১৯, ২০২১
০৪:০০ পূর্বাহ্ন
রমজান মাসেও জুয়া খেলায় মগ্ন একদল লোক। কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়ার মধ্যে সরকার লকডাউন দিলেও তারা সংঘবদ্ধভাবে জুয়ার আসরে ব্যস্ত। সিলেটের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গত কয়েক দিনে এরকম প্রায় অর্ধশত লোককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন যুবক থেকে বৃদ্ধ সব বয়সী লোক। গতকাল সিলেট মহানগর পুলিশের পৃথক অভিযানে এরকম আরও ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পৃথক অভিযানে অন্তত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার দিনগত রার সাড়ে ১১টায় দক্ষিণ সুরমা তেলীবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ জন এবং এর আগে বালুরমাঠ এলাকা থেকে আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তেলীবাজারস্থ আহমদপুরগামী রাস্তার পাশে একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় তীর শিলং খেলা অবস্থায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- আহমদপুরের আমির উদ্দিন (২২), সফর আলী (৩৫), বলদীর আনোয়ারুল হক (৬২), আব্দুল খালিক (৪৪), ধরাধরপুরের আলিম উদ্দিন (৩০)। তাদের কাছ থেকে জুয়া খেলার সামগ্রী ও নগদ ৪ হাজার ১৩৫ টাকা জব্দ করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা হয়েছে।
এর আগে বালুরমাট কালামের হোটেলে গাফলা গুটির মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলার আসর থেকে মো. মামুন মিয়া (২৪) মো. নাছির উদ্দিন (৩২), মো. কয়েছ মিয়া (৩২), মো. হৃদয় আহমদ (২৭), জয়নাল মিয়া (২৪) নামের পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মো. মাইনুল জাকির জানান, শনিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বিমানবন্দর বড়শালা নয়াবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে জুবের আহমদ (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় তীর শিলং খেলার এজেন্ট মো. আকমল হোসেন (২৫) কে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে তীর খেলার বেশকিছু প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। আসামিদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা জানান, গত শনিবার এসআই শাহিন কবিরের নেতৃত্বে খালোমুখ বাজারের রেললাইনের উপর বসে জুয়া খেলা অবস্থায় সাত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বারইগ্রামের গুলজার হোসেন (৪০), উত্তর ছত্তিঘরের মঞ্জুর আহমদ (৩০), আলী আহমদ (২৬), সাদিকুর রহমান (২৭), ইন্তাজ (৫০), এবং উলালমহল গ্রামের মো. বেলাল মিয়া (৪৫) ও তেতলীর নাজমুল (৩৭)। তাদের কাছ থেকে নগদ ৩ হাজার ৬৩০ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
এসএইচ/বিএ-১১