সিলেটে সকালে কঠোর, দুপুর থেকে ঢিলেঢালা লকডাউন

নিজস্ব প্রতিবেদক


এপ্রিল ১৫, ২০২১
০৯:৩২ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১৫, ২০২১
০৯:৫৪ অপরাহ্ন



সিলেটে সকালে কঠোর, দুপুর থেকে ঢিলেঢালা লকডাউন

ছবি- প্রদীপ রঞ্জন বৈষ্ণব

সিলেটে চলছে দ্বিতীয় দিনের লকডাউন। সকালের দিকে নগরে যান চলাচল ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতি কম চোখ পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বেড়েছে। দুপুর ১টা থেকে নগরের বিভিন্ন এলাকায় মানুষের উপস্থিতি বেড়ে চলে। সেই সঙ্গে সড়কে যানবাহনও। সকাল থেকে বেলা ২টার আগে পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের কড়া অবস্থান থাকলেও দুপুরের পর তা কমে যায়।

আজ বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত নগরের কোর্ট পয়েন্ট, বন্দর বাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, রিকাবীবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সকালে প্রায় জনশূন্য সিলেট নগর। ছবিটি নগরের জিন্দাবাজার এলাকার।

 

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দুপুরের আগ পর্যন্ত নগর ছিল অনেকটা জনশূন্য। এ সময় প্রধান সড়কগুলোতে যান চলাচলও একেবারে কম ছিল। পুলিশকেও বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করতে এবং রাস্তায় বের হওয়া মানুষ ও যানবাহনের গতিরোধ করে চেক করতে দেখা যায়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। একই সঙ্গে বাড়ে রিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনের সংখ্যা।

দুপুরের পর যারাই বের হয়েছিলেন তারা বেশিরভাগ ইফতার সামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেই বের হয়েছেন। নগরের বন্দর বাজার এলাকায় বাজার করতে আসা ইসহাক আলী সিলেট মিররকে বলেন, 'ইফতারের জন্য কিছু ফল কিনতে এসেছি৷ ' 

দুপুর আড়াইটার দিকে সিলেট নগর। ছবিটি নগরের চৌহাট্টা এলাকার।

 

এদিকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের কড়াকড়ি উপস্থিতি থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা স্বাভাবিক হতে থাকে। দুপুর আড়াইটার দিকে বন্দর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি নেই৷ বন্দর এলাকায় ফুটপাতে ফলমূল নিয়ে বসেছেন হকাররা। কয়েকজন হকার জানান, বেলা দুইটার আগে পুলিশের উপস্থিতির কারণে তারা এখানে বসতে পারেননি। 

এসব বিষয়ে কথা বলতে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবু ফরহাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সিলেট মিররকে বলেন, 'মহাজনপট্টি, কালিঘাট গলিতে দুপুরের পর লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।’ সব পয়েন্টেই পুলিশ কড়া অবস্থানে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষকে ঘরে রাখতে পুলিশ সর্বোচ্চ কাজ করছে।'

 

এনএইচ-০১/এএফ-০৩