সিলেটে নিত্যপণ্যের বাজার চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক


এপ্রিল ১৪, ২০২১
০৬:১১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১৪, ২০২১
০৬:১১ পূর্বাহ্ন



সিলেটে নিত্যপণ্যের বাজার চড়া

নগরে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। রমজানকে সামনে রেখে এবং লকডাউনের খবরে পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে দামও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। 

বোতলজাত সয়াবিনের দাম, খোলা ময়দা, আলু, রসুন, আদা ও গুঁড়ো দুধসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে সব ধরনের সবজি, মাছ, মুরগী ও গরুর মাংসের দাম। তবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রমজানে নিত্যপণ্যের চাহিদা থাকে বেশি। এ সময় সারা মাসের খরচ একসঙ্গে কিনে ঘরে মজুদ করেন ক্রেতারা। বাজারে পণ্যের টান পড়ায় দামও কিছুটা চড়া থাকে। তবে এবার রমজান এবং লকডাউনের কারণে কয়েক দফায় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। 

নগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, চলতি সপ্তাহে নতুন করে বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। বেড়েছে খেজুর, সয়াবিন তেল, মসলা, সবজি, ব্রয়লার মুরগি, আলু, রসুন ও পেঁয়াজের দাম। মসলাজাতীয় পণ্যের মধ্যে বেড়েছে এলাচ, শুকনা মরিচ, রসুন ও আদার দাম। দুদিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। 

নগরের একজন বেসরকারি চাকরিজীবীর সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয় বাজারে। রমজানকে সামনে রেখে তিনি নিত্যপণ্যের বাজার করতে বেরিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সামনে রোজা, এমন সময় করোনা বাড়ছে। চাকরি হারানোর আতঙ্কও বাড়ছে। অথচ এই সময়েও জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে। সীমিত আয়ের মানুষের জন্য এটা অসহনীয়।’

খুচরা ব্যবসায়ীরাও বলছেন, রোজায় যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে বাজারে সেগুলোর পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। কিন্তু, তাদের বাধ্য হয়েই বেশি দামে পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ পাইকারি বাজারে দাম বেশি। তাই আমাদের বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। 

গত এক সপ্তাহে মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ টাকা। প্রতি কেজি মোটা চাল ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে এই চালের দাম ছিল ৪৮ টাকা। প্রতিকেজি মিনিকেট চাল ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা, একসপ্তাহ আগে ছিল ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা। পাইজাম চাল ৬০ টাকা কেজি, সাত দিন আগে ছিল ৫৬ টাকা। 

বাজারে মসলাজাতীয় পণ্যের মধ্যে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩ হাজার টাকায়, যা সাত দিন আগে ছিল ৩ হাজার টাকা। শুকনা মরিচ ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। একসপ্তাহ আগে ছিল ২৮০ টাকা। আমদানি করা রসুন ১২০ টাকা কেজি, যা একসপ্তাহ আগে ছিল ১১০ টাকা। 

বাজারে মাঝারি মানের মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি, এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা কেজি। খোলা সয়াবিন ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে ছিল ১২১ টাকা। দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা, সাধারণ মানের খেজুর ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পটল ১০ থেকে ২০ টাকা, বরবটি ১০ টাকা, ঢেঁড়স ২০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, লাউ ১০ থেকে ১৫ টাকা, শিম ১০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২০ টাকা প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে। 

সোবহানীঘাট কাঁচাবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী আবুল মিয়া বলেন, ‘আমরা চড়া দামে পণ্য কিনছি, এখন কম দামে বিক্রি করার সুযোগ নেই। প্রতিদিন আমরা তরকারি বিক্রি করি। রমজান এলে শুধু নয়; যেকোনো সময় তরকারির দাম বাড়তে পারে।’

আরসি-০১