স্কুলছাত্রী ধর্ষণ : মূল অভিযুক্তসহ ৬ জন কারাগারে

জকিগঞ্জ প্রতিনিধি


এপ্রিল ১০, ২০২১
১২:৪৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১০, ২০২১
১২:৪৪ পূর্বাহ্ন



স্কুলছাত্রী ধর্ষণ : মূল অভিযুক্তসহ ৬ জন কারাগারে

সিলেটের জকিগঞ্জে ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় জড়িত প্রভাবশালী ৫ জনসহ ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত সালমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) রাত থেকে শুক্রবার (৯ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত টানা প্রায় ২৪ ঘন্টা জকিগঞ্জ ইউনিয়নের রারাই গ্রামসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ এই ৬ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। শুক্রবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জকিগঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রারাইগ্রামের আফতার হোসেনের ছেলে সালমান আহমদকে (১৮) এবং ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় জড়িত সেনাপতিরচক গ্রামের মৃত ফজই মিয়ার ছেলে হেলাল আহমদ, স্থানীয় ইউপি সদস্য সামসুল হক, রারাইগ্রামের মৃত আব্দুল জলিল টরইর ছেলে হাফিজ খালেদ, একই গ্রামের ফরল মিয়া ও আমলশীদ গ্রামের আব্দুস সালামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রী বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগে মূল অভিযুক্তসহ ধামাচাপার চেষ্টায় জড়িত ৫ জনের নামোল্লেখ করা হয়। অভিযোগ পেয়েই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তসহ ধামাচাপায় জড়িত প্রভাবশালীদের গ্রেপ্তার করে। এদিকে, নির্যাতিতার ২২ ধারায় জবানবন্দি নিতে পুলিশ তাকে সিলেটের আদালতে প্রেরণ করেছে।

নির্যাতিত মেয়ের পরিবার জানিয়েছে, পুলিশের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পরপরই অভিযান শুরু হয়। ঘটনার মূল অভিযুক্তসহ প্রভাবশালীরাও আইনের আওতায় এসেছে। তারা পুলিশের তৎপরতায় সন্তুষ্ট।

জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাসেম বলেন, 'অভিযোগ পাওয়ার পর সিলেটের পুলিশ সুপারের পরামর্শে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়ের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।'

জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় জানান, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রায় ২৪ ঘণ্টা একটানা অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন স্থান থেকে ঘটনায় আপসের চেষ্টাকারী ৫ জনসহ মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। নির্যাতিত মেয়ের পরিবার যাতে কোনো হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে পুলিশ লক্ষ্য রেখেছে।'

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (৫ এপ্রিল) রাতে রারাই গ্রামের ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে গেলে পাশের বাড়ির সালমান আহমদ তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরদিন ভোরে অসুস্থ অবস্থায় কিশোরীকে ফেরত দিয়ে যায় সালমান। এ ঘটনার পর স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী নির্যাতিতার পরিবারকে ঘটনাটি আপসে নিষ্পত্তি করতে চাপ দেয় এবং মারধরসহ হয়রানি করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

ওএফ/আরআর-০২