ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি
এপ্রিল ০৯, ২০২১
০৩:১০ পূর্বাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ১০, ২০২১
০৩:১৮ পূর্বাহ্ন
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় প্রথম ধাপে আসা ৬ হাজার ১০০ ডোজ ভ্যাকসিন গত প্রায় দুই মাসেও প্রয়োগ সম্ভব হয়নি। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড–অ্যাস্টোজেনেকার এই ভ্যাকসিন প্রয়োগে মানুষের সাড়া পায়নি ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তাই ফেরত দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু ভ্যাকসিন।
গত ৭ ফ্রেব্রুয়ারি সকালে ফেঞ্চুগঞ্জে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য (সদ্য প্রয়াত) মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস। এর আগে ভ্যাকসিন প্রদানের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ ও তাদের মধ্যে টিকা প্রয়োগের কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়।
পরবর্তীতে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধনের মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হয়। তাতে ব্যাপক সাড়া না পাওয়ায় বয়সসীমা কমিয়ে আনা হয়। তারপরও ফলাফল তেমন পাওয়া যায়নি।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ভ্যাকসিন গ্রহণে মানুষের আগ্রহ কম। মানুষ ভ্যাকসিন নিচ্ছেন না। নতুন করে গত ১৬ মার্চ থেকে প্রতিটি ইউনিয়নে তারা এ কার্যক্রম চালানোর উদ্যোগ নিয়েও সাড়া পাননি। যার কারণে মেয়াদ থাকা প্রথম ডোজের বেশ কিছু ভ্যাকসিন তারা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
এরই মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের সময় চলে আসায় প্রথম ডোজের মতো ৬ হাজার ১০০ ডোজ চাহিদা জানানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে উপজেলা পরিসংখ্যান বিভাগ। প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রথম ডোজের ক্ষেত্রে টিকাগ্রহণকারী পাওয়া গিয়েছিল অর্ধেকেরও কম। দুই মাসে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২ হাজার ৭৭৩ জন। দ্বিতীয় ডোজ চালু হয়েছে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) থেকে। প্রথম দিনে টিকাগ্রহণকারীর সংখ্যা ১৫ জন, যাদের মধ্যে পুরুষ ১২ জন ও নারী ৩ জন। টিকা নিতে সব মিলিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন উপজেলার ৩ হাজার ৮৫৪ জন।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান বলেন, 'মানুষের মাঝে টিকাগ্রহণের কোনো আগ্রহ নেই। আমরা অনেক চেষ্টা করেও মানুষকে উৎসাহিত করতে পারিনি। যার জন্য দ্বিতীয় ধাপে আমরা আর চাহিদা বাড়াতে পারিনি।'
এসএ/আরআর-১১