কানাইঘাট প্রতিনিধি
এপ্রিল ০৬, ২০২১
০৪:২৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ০৬, ২০২১
০৪:২৮ পূর্বাহ্ন
করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সরকার সারা দেশে সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করলেও সিলেটের কানাইঘাটে তা পুরোপুরিভাবে কার্যকর হচ্ছে না। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও সবধরনের যানবাহন যাত্রীদের নিয়ে স্বাভাবিকভাবে চলেছে। উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে আগের মতোই ভিড় দেখা গেছে। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে সন্ধ্যা ৭টার পরও হাট-বাজারে সবধরনের দোকানপাট খোলা দেখা গেছে এবং জনসাধারণের মধ্যে মাস্ক পরার প্রবণতা একবারে কম পরিলক্ষিত হয়েছে।
তবে লকডাউন কার্যকর করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবিদা সুলতানা মাঠপর্যায়ে জনসাধারণকে করোনা থেকে সচেতন করতে এবং লকডাউনের বিধিনিষেধ মানার জন্য মাঠ পর্যায়ে তৎপর রয়েছেন। লকডাউন শুরুর দিন সোমবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তৎপর ছিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি। সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে তিনি কানাইঘাট বাজার ও উপজেলা রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে দোকানপাট খোলা রাখার দায়ে ৮টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং কানাইঘাট বাজারের সকল দোকানপাট বন্ধ করে দেন।
তবে প্রশাসন সক্রিয় থাকলেও লকডাউন মানছেন না বেশিরভাগ মানুষ। কানাইঘাটে সবকিছুই যেন আগের মতো স্বাভাবিকভাবে চলছে। বাস ছাড়া সবধরনের যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলতে দেখা গেছে। অটোরিকশা, লেগুনা, পিকআপ ও ব্যাটারিচালিত টমটমে অর্ধেক যাত্রী বহন না করে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। মাস্ক না পরার প্রবণতা খুব বেশি ছিল হাট-বাজারগুলোতে। যানবাহনেও অধিকাংশ লোকজনকে মাস্ক ছাড়া চলাফেরা করতে দেখা গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি বলেন, 'লকডাউন মানতে জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য প্রতিদিন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিংসহ প্রচার চলছে। আমরা মাঠপর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছি। জনসাধারণের সামনে করোনার ভয়াবহতা তুলে ধরে তাদের জীবন সুরক্ষিত করতে বোঝানোর চেষ্টা করছি। এখন থেকে লকডাউন কার্যকর করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা. অভিজিত শর্মা জানিয়েছেন, গত দুই সপ্তাহে কানাইঘাটে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ জন। এর মধ্যে গত রবিবার ৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
তিনি হাসপাতাল থেকে করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করার জন্য ৪০ বছরের উর্ধ্বে সবাইকে আহ্বান জানান এবং কারও জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা দেখা দিলে হাসপাতালে এসে করোনার নমুনা পরীক্ষা করার জন্য অনুরোধ জানান।
এমআর/আরআর-১৪