বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি
এপ্রিল ০৬, ২০২১
০২:২৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ০৬, ২০২১
০২:২৯ পূর্বাহ্ন
লকডাউন মানছেন না সিলেটের বিয়ানীবাজারবাসী। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে সারাদেশে ৭ দিনের লকডাউন কার্যকর হয়েছে সোমবার (৫ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে। কিন্তু দিনের শুরু থেকেই বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তা মানতে দেখা যায়নি।
সোমবার বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মূল সড়কের পাশের বিপণিবিতানগুলো বন্ধ থাকলেও অলিগলিতে থাকা দোকানপাট প্রায় সবই খোলা। কোনো কোনো এলাকায় দোকানের শাটার নামিয়ে চলেছে পণ্য কেনা-বেচা। সড়কে স্বাভাবিকভাবেই চলেছে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ব্যক্তিগত যানবাহন। লকডাউন বাস্তবায়ন করতে সকাল থেকে প্রশাসন মাঠে থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দোকানপাট খুলতে শুরু করে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মানাতেও দেখা গেছে উদাসীনতা। অনেককে মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে দেখা যায়নি কোথাও। তবে সকালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পৌরশহরের ছোট ছোট খাবারের হোটেলও খুলতে দেখা গেছে। বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে অনেককে হোটেলে বসে খেতেও দেখা গেছে। সকাল ৮টা থেকে বসেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও কাঁচাপণ্যের বাজার।
লকডাউনে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়া চালক জসিম বলেন, 'লকডাউনে ঘরে বসে থাকলে পরিবার নিয়ে খাবো কী? পেটের দায়ে ঘর থেকে বের হয়েছি। আমাদের মতো দিনে আনা দিনে খাওয়া মানুষদের লকডাউনে পড়তে হয় মহাবিপদে।'
পৌরসভার নয়াগ্রাম এলাকার হারুন আহমদের কাছে বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বাজার করতে বাইরে বেরিয়েছি। বাসায় তরিতরকারি বলতে কিছুই নেই। আমাদের মতো মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষদের লকডাউন মেনে চলা খুব কঠিন।'
বিয়ানীবাজার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক নুর জানান, সোমবার থেকে লকডাউন কার্যকরের সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। লকডাউন কার্যকর করতে সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। এ সময় সরকারি নির্দেশনা মেনে জনসাধারণকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্যও সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
এসএ/আরআর-১০