যেমন হতে পারে নিষেধাজ্ঞা

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ০৪, ২০২১
১০:২৬ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০৪, ২০২১
১০:২৬ পূর্বাহ্ন



যেমন হতে পারে নিষেধাজ্ঞা

প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া প্রস্তাবে যে বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে আন্ত জেলা যান চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। জেলা থেকে ঢোকা বা বের হওয়ার পথে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেকপোস্ট বসানোর ব্যবস্থা হবে। যেসব যান চলবে সেগুলোর ৫০ শতাংশ আসন খালি রাখতে হবে। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবে না। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, ওষুধ, মৃতদের দাফন, সিকিউরিটি গার্ডসহ জরুরি কাজের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য পেশার মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে পারবে।

মসজিদ মন্দিরসহ সব উপসনালয়ে ন্যূনতম উপস্থিতি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। প্রতি ওয়াক্তের নামাজে পাঁচজন এবং জুমার নামাজে ১০ জনের উপস্থিতির প্রস্তাব করা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বেচাকেনার ক্ষেত্রে উন্মুক্ত জায়গা বেছে নেওয়ার নির্দেশনা থাকছে। বেসরকারি আর্থিক সেবার সঙ্গে যুক্ত গাড়িসহ ব্যক্তিদের চলাচলে বাধা থাকবে না। তবে ব্যাংক খাতের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক পৃথক নির্দেশনা দেবে। এর বাইরে গণজমায়েত, সভা-সমাবেশ, সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসকে তিন ভাগের এক ভাগ জনবল নিয়ে কাজ করতে হবে।

শপিং মল, মার্কেটের সময় বেঁধে দেওয়া হতে পারে। অফিস-আদালতে কাজ করতে হবে এক-তৃতীয়াংশ জনবল নিয়ে। এ নিষেধাজ্ঞা চলাকালে কোনো সরকারি কর্মচারীসহ বেসরকারি কর্মজীবীরাও তাঁদের কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না। হাট-বাজার, শপিং মল সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, বিদ্যুৎ, পানি, ত্রাণ বিতরণ, জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ডাকসেবা, হাসপাতাল, কৃষিপণ্য, সার, বীজ, খাদ্য, শিল্পপণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের মালামাল, নার্স, চিকিৎসক, কেবল নেটওয়ার্ককর্মী, গণমাধ্যমকর্মীদের পরিবহন ও চলাচলে স্বাস্থ্যবিধি মানলে বাধা থাকবে না। রপ্তানিমুখী শিল্পসহ সব শিল্প-কারখানা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বজায় রেখে চালু রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের খবর জানায় সরকার। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর জানানো হয়। এরপর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ২৩ মার্চ প্রথমবার ‘সাধারণ ছুটির’ ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। শুরুতে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হলেও পরে মেয়াদ বাড়ে কয়েক দফা।

সে সময় সব অফিস-আদালত, কল-কারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ৩১ মের পর থেকে ধাপে ধাপে বিধি-নিষেধ শিথিল করতে থাকে সরকার। বছরের শেষে এসে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকা ছাড়া আর সব কড়াকড়িই উঠে যায়।

সাধারণ ছুটির আগে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর টোলারবাগে লকডাউন দেওয়া হয়। এরপর ছুটি চলার সময় সারা দেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করে পরিস্থিতি অনুযায়ী লকডাউনের বিধি-নিষেধ আরোপের পরিকল্পনা হয়েছিল। পরীক্ষামূলকভাবে রাজাবাজার, ওয়ারীসহ কয়েকটি এলাকায় সেই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। কিন্তু পরে আর তা এগোয়নি।

আরসি-০৫