পরিস্থিতির চাপে বাধ্য হয়ে ‘স্ত্রী’ বলতে হয়েছে-মামুনুল হক

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ০৪, ২০২১
০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০৪, ২০২১
০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন



পরিস্থিতির চাপে বাধ্য হয়ে ‘স্ত্রী’ বলতে হয়েছে-মামুনুল হক

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে একজন নারীর সঙ্গে অবরুদ্ধ হয়েছিলেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা পরে ওই রিসোর্টে হামলা চালিয়ে মামুনুলকে ‘উদ্ধার করে’ নিয়ে যান। রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়ার পর মামুনুল হক তার সঙ্গী নারীর পরিচয় দেন দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে। দুই বছর আগে তাকে বিয়ে করেছিলেন বলেও দাবি করেন।

এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে মামুনুল হক তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। আর সেই অডিওতে মামুনুল তার স্ত্রীকে বলছেন, রিসোর্টে তার সঙ্গী মেয়েটি অন্য আরেকজনের স্ত্রী। ‘পরিস্থিতির চাপে বাধ্য হয়ে’ তাকে মিথ্যা বলতে হয়েছে।

আজ শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে সোনারগাঁওয়ের ওই রিসোর্টে অবরুদ্ধ হন মামুনুল। রাতে তাকে ‘উদ্ধার করে’ নিয়ে যান হেফাজত কর্মীরা। এরপর রাত ১০টার দিকে মামুনুল হকের সঙ্গে তার স্ত্রীর কথিত ফোনালাপটি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

কথপোকথনটি এরকম—

মামুনুলের স্ত্রী: আসসালামু আলাইকুম।

মামুনুল: ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। পুরো বিষয়টা তোমাকে আমি সামনে এসে বলব। ওই মহিলা যে ছিল সাথে ছিল, সে হইলো আমগোর শহিদুল ভাইয়ের ওয়াইফ, বুঝছো? ঐইটা নিয়ে একটা, মানে ওখানে অবস্থা এরকম তৈরি হয়ে গেছে যে এই কথা বলা ছাড়া... ওখানে মানে ওরা ই করে ফেলছিল আমাকে... বুঝছো?

মামুনুলের স্ত্রী: আচ্ছা বাসায় আসেন। তারপরে কথা হবে। যা বলার বইলেন।

মামুনুল: না না, বলুম তো... তুমি বিষয়টা, মানে অন্যান্য কথা অন্যদের বলতে হইব পরিস্থিতিটা এরকম হয়ে গেছে। এখন এইজন্য তুমি আবার মাঝখান দিয়ে অন্যকিছু মনে কইরো না। তোমাকে কেউ জিজ্ঞেস করলে তুমি বইলো যে, হ্যাঁ আমি সব জানি। এরকম কিছু একটা বইলো...।

মামুনুলের স্ত্রী: ঠিকাছে।

মামুনুল: আচ্ছা আসসালামু আলাইকুম।

মামুনুল ও তার স্ত্রীর কথিত এই ফোনালাপের পুরুষ কণ্ঠ, যাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মামুনুল হিসেবে বলা হচ্ছে, সেই পুরুষ কণ্ঠের বক্তব্যে এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে, রিসোর্টে যে মেয়েটি ছিলেন, তিনি তার স্ত্রী নন। তিনি শহিদুল নামে একজনের স্ত্রী। পরিস্থিতির চাপে পড়ে তাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

এ বিষয়টি নিয়ে জানতে মামুনুল হকের ফোন নম্বরে একাধিকবার একাধিক নম্বর থেকে কল করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ না করে কেটে দিয়েছেন। মামুনুল হকের স্ত্রীর মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, রিসোর্টে যে মেয়েটি ছিলেন, তার মোবাইল নম্বরে কল করা হলে তিনিও রিসিভ করেননি।

আরসি-১১