গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট সংস্কারে ২২০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ

সিলেট মিরর ডেস্ক


মার্চ ২২, ২০২১
১১:০৭ অপরাহ্ন


আপডেট : মার্চ ২২, ২০২১
১১:০৭ অপরাহ্ন



গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট সংস্কারে ২২০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ

গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ২০৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে এ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, সংস্কার এবং অবকাঠামো উন্নয়নে এসব অর্থ ব্যয় করা হবে। সোমবার (২২ মার্চ) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা পরিষদ এবং পৌরসভার অনুকূলে এসব বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

বরাদ্দ করা অর্থে গ্রামীণ অবকাঠামো তৈরি হলে তা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কাজের বিনিময়ে টাকার (কাবিটা) প্রথম কিস্তিতে ৩৮০ কোটি ৫১ লাখ ও দ্বিতীয় কিস্তিতে ২৭৯ কোটি ৫২ লাখ টাকাসহ মোট ৬৬০ কোটি দুই লাখ টাকা এবং টিআর (টেস্ট রিলিফ) খাতে প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তিতে ২৭৮ কোটি টাকা করে মোট ৫৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কাবিটা ও টিআর খাতে প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তিতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মোট এক হাজার ২১৬ কোটি দুই লাখ টাকা। এছাড়া মুজিববর্ষ উপলক্ষে চলমান কর্মসূচির আওতায় অধিক গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

সেজন্য এবার প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির অতিরিক্ত তৃতীয় কিস্তিতে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে এতে বলা হয়, প্রথমবারের মতো এবার তৃতীয় কিস্তিতে কাবিটা খাতে ৫৭০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা এবং টিআর খাতে ৪১৭ কোটি টাকাসহ মোট ৯৮৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়নে এসব বিশেষ বরাদ্দ দেশের প্রতিটি গ্রামকে নগর সুবিধার আওতায় আনতে ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে বলে মনে করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

তৃতীয় কিস্তিতে সংসদ সদস্যদের প্রতি নির্বাচনী এলাকায় কাবিটা খাতে এক কোটি সাত লাখ ৮১ হাজার ২৮৪ টাকা এবং টিআর খাতে ৭৪ লাখ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি সংরক্ষিত মহিলা আসনে কাবিটা খাতে ৩৪ লাখ ২৪ হাজার ৬৪৩ টাকা এবং টিআর খাতে ২৫ লাখ দুই হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রতি উপজেলা পরিষদে কাবিটা খাতে গড়ে ৫২ লাখ ২০ হাজার ৪৯২ টাকা এবং টিআর খাতে ২৯ লাখ ৬৬ হাজার ৪৬৩ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বিভাগে বরাদ্দ দেওয়া হয় টিআর খাতে ৭৮ লাখ ১৮ হাজার ৭৫০ টাকা করে মোট ছয় কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও প্রতিটি জেলায় ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৬৮৭ টাকা করে মোট ১২ কোটি ৫০ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬৮ টাকা এবং প্রতিটি পৌরসভায় বরাদ্দ দেওয়া হয় পাঁচ লাখ ৮ হাজার ৫৩৬ টাকা করে।

বি এন-০৮