সিলেট মিরর ডেস্ক
মার্চ ১২, ২০২১
০৬:৫৯ অপরাহ্ন
আপডেট : মার্চ ১২, ২০২১
০৬:৫৯ অপরাহ্ন
অতিমারি করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ৩০ মার্চ দেশের সব স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দেশে সংক্রমণ কমে আসায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্তের তৃতীয় দিন অর্থাৎ চলতি মাসের প্রথম দিন থেকে হঠাৎ করেই সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি শুরু হয়। ওইদিন রোগী শনাক্ত হার এক লাফে ৪ শতাংশের ওপরে উঠে যায়। সেদিন ৪ দশমিক ৩১ শতাংশ হারে রোগী শনাক্ত হয়, যা ছিল তার আগের ৪১ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এছাড়া একই দিন প্রায় এক মাস পর শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যাও ৫০০ ছাড়িয়ে যায়। এমনকি গত কয়েক দিন ধরে সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে। শনাক্ত হার আবার ৫ শতাংশের ওপরে উঠে গেছে এবং রোগীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে ৩০ মার্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যাপারে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। নতুন করে ভাবতে হচ্ছে সরকারকে। সংক্রমণ পরিস্থিতি এমন থাকলে আদৌ স্কুল-কলেজ খুলবে কি না সে নিয়ে সংশয়ে আছেন করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ।
সংক্রমণ এমন থাকলে বা আরও বাড়লে এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে নন বিশেষজ্ঞরা। আর খুললেও যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে সীমিত আকারে খোলার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
তবে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, এখন পর্যন্ত আগের ঘোষণা বহাল রয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, স্কুল-কলেজ খোলার ব্যাপারে ১৩ মার্চ বিকেলে তথ্য মন্ত্রণালয় একটি বৈঠক ডেকেছে। সেখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা থাকবেন। সেই সভার সিদ্ধান্ত ছাড়া বলতে পারব না স্কুল-কলেজ খুলবে কি না। সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কী করবে, সেখানে সিদ্ধান্ত হবে। তবে এখন পর্যন্ত যেটুকু দেখছি তাতে মনে হচ্ছে আরও দুই সপ্তাহ দেখতে হতে পারে। তখন সংক্রমণ পরিস্থিতি বোঝা যাবে। তবে সত্যি যদি এরকম বাড়তে থাকে, তাহলে তো আশঙ্কার কথা।
আরসি-০৮