সিলেট মিরর ডেস্ক
মার্চ ১০, ২০২১
০৭:১৫ অপরাহ্ন
আপডেট : মার্চ ১০, ২০২১
০৭:১৫ অপরাহ্ন
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের পর সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ২৭ জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তবে আটকদের নামপরিচয় জানা যায়নি।
কোম্পানীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি জানান, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় জড়িতদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা চলছে বসুরহাট পৌর এলাকায়।
বুধবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে বলে জানান কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জিয়াউল হক মীর।
এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল।
উপজেলা আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ও সংঘর্ষের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় বসুরহাট পৌর এলাকায় এই ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন।
এই সময়ের মধ্যে পৌর এলাকায় ব্যক্তি, সংগঠন, রাজনৈতিক দল, গণজমায়েত, সভা, সমাবেশ, মিছিল, র্যালি, শোভাযাত্রা, যে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান এবং রাজনৈতিক প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে পৌর শহরে ৪ জনের বেশি লোক জমায়েত হতে পারবে না।
মঙ্গলবার বিকেল থেকে আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের চলমান সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় আলা উদ্দিন (৪০) নামের যুবলীগ এক কর্মী নিহত হন। তিনি পেশায় সিএনজি চালক ছিলেন।
নিহত আলাউদ্দিন উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের চর কালি গ্রামের মমিনুল হকের ছেলে।
প্রসঙ্গত গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় আলা উদ্দিন নামের এক সিএনজি চালক নিহত হয়েছেন।
নিহত আলা উদ্দিনকে নিজের সমর্থক বলে দাবি করেছেন মিজানুর রহমান বাদল।
সংঘর্ষে ওসি মীর জাহিদুল হক রনি ও চার পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। গুলিবিদ্ধ হন ১৩ জন।