হবিগঞ্জ প্রতিনিধ
ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
০৬:২৬ অপরাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
০৬:২৬ অপরাহ্ন
হবিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারে আচরণবিধি মানছেন না অনেক মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী। তাদের কেউ কেউ প্রচারের জন্য পত্রিকা ও ফেসবুকে লাইভ ও রঙিন পোষ্টার দিয়ে প্রচার করছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে নির্বাচনী আচরণ বিধি না মেনে ফেসবুকে প্রচার মিছিলের লাইভ ও রঙিন পোষ্টার বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচার করার দায়ে বিএনপি-আওয়ামী লীগ ও সতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর এজেন্টকে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী টিপু আহমেদকেও জরিমানা করা হয়েছে।
জানা গেছে, বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো. এনামুল হক সেলিমের নির্বাচনী এজেন্টকে ১০ হাজার টাকা এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র পদপ্রার্থী মো. মিজানুর রহমানের নির্বাচনী এজেন্টকে ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। নির্বাচনী আচরণ লঙ্ঘন করে মিছিল বের করায় আওয়ামীলীগের মেয়র পদপ্রার্থী আতাউর রহমান সেলিমের নির্বাচনী এজেন্টকে ৫ হাজার টাকা এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী টিপু আহমেদের নির্বাচনী এজেন্টকে ৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহ জহুরুল হোসেন ও সাঈদ মোহাম্মদ ইব্রাহীম। নির্বাচনী এজেন্টরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করবেন না মর্মে অঙ্গীকার করেন।
আচরণ বিধিমালায় বলা আছে, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কেউ আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করলে তিনি অনধিক ছয় মাস কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আর কোনো রাজনৈতিক দল অথবা কোনো প্রার্থীর পক্ষে কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে প্রচার করলে অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। বড় দলের প্রার্থীরা এমনকি অনেক কাউন্সিলর প্রার্থী মিছিল ও শোডাউন করে তা ফেসবুকে প্রচার করছেন। কোনো স্থানে প্রার্থী নিজেই আবার কোনো কোনো স্থানে প্রার্থীর পক্ষে তার অনুসারীরা এসব কাজ করছেন। বিশেষ করে, মেয়র প্রার্থীর ক্ষেত্রে তার অনুসারীরাই বেশি করে থাকেন বলে সরেজমিনে দেখা গেছে।
এসআর/বিএ-০৫