সিলেট মিরর ডেস্ক
                        মে ০৮, ২০২৫
                        
                        ০১:২৬ অপরাহ্ন
                        	
                        আপডেট : মে ০৮, ২০২৫
                        
                        ০৬:২৩ অপরাহ্ন
                             	
                        
            
    ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশ ছাড়েন বলে জানা গেছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৯ মাস পর দেশ ছাড়লেন তিনি।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন আবদুল হামিদ।
এর আগে রাত ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ। সেখানে যাওয়ার পর ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে দেশ ছাড়েন তিনি।
আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। তবে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বা আদালতের কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি।
বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের বিশেষ শাখার এস এস আখতারুজ্জামান বলেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের কোনো নিষেধাজ্ঞা বা গ্রেপ্তারের নির্দেশনা আমাদের কাছে ছিল না। সংবিধানের ৩৪ ও ১০২ ধারা অনুযায়ী, আদালতের সুনির্দিষ্ট আদেশ ছাড়া কাউকে দেশত্যাগে বাধা দেওয়া যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো গোয়েন্দা সংস্থা থেকেও তাঁর বিষয়ে আলাদা কোনো নির্দেশনা আসেনি। বয়স বিবেচনায়ও বিষয়টি দেখা হয়েছে।’ সবকিছু বিবেচনা করে তাঁকে যেতে দেওয়া হয়েছে বলে জানান আখতারুজ্জামান।
জানা গেছে, তাঁর শ্যালক অধ্যাপক ডা. আ. ন. ম নৌশাদ খান সফরসঙ্গী হিসেবে গেছেন।
আবদুল হামিদের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছেন, আগামীকাল শুক্রবার থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার করানোর কথা রয়েছে। চিকিৎসা শেষে তাঁর দেশে ফিরে আসার কথা রয়েছে।
আবদুল হামিদের ছেলের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জানান, স্যার বেশ কয়েক মাস ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ। তিনি গত মাসে ১০ দিনের বেশি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসকদের পরামর্শেই বিদেশে গেছেন তিনি।
এএফ/০৫