নাট্য প্রদর্শনীর উদ্বোধনে দুই গুণীকে সম্মাননা

সিলেট মিরর ডেস্ক


ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
০৬:৫২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
০৬:৫২ পূর্বাহ্ন



নাট্য প্রদর্শনীর উদ্বোধনে দুই গুণীকে সম্মাননা

দুই গুণীকে সম্মাননা জানানোর মধ্য দিয়ে সিলেটে পর্দা উঠেছে একুশের আলোকে নাট্য প্রদর্শনীর। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় সিলেটের কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে আলোক প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে নাট্য প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।

এ সময় স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সিলেটের সঙ্গীতাঙ্গনে অসামান্য অবদান রাখায় বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী হিমাংশু বিশ্বাস ও নাট্যাঙ্গনে অসামান্য অবদান রাখায় প্রয়াত নাট্যকার বিদ্যুৎ করের বড় বোন মায়া করকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

অন্ধকার দূর করে আলোর প্রত্যাশায় সিলেটে শুরু হওয়া নাট্য প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন কবি শুভেন্দু ইমাম। উদ্বোধনপূর্ব আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সিলেট নগরের কিনব্রিজের পাশের জালালাবাদ পার্কটিকে উন্মুক্ত করে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ব্যবহার উপযোগী করার পরিকল্পনা রয়েছে সিসিকের। শুধু তাই নয়, নগরের সুরমা নদীর পাড় ঘিরে একটি সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। সারদা হলকে যত দ্রুত সম্ভব উন্মুক্ত করে সাংষ্কৃতিক কমপ্লেক্স হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এছাড়া এর নিকটবর্তী পীর হবিবুর রহমান পাঠাগারকে সুন্দর করে সংস্কার করা হচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী দেবজিৎ সিংহ, নাট্য পরিষদের প্রধান পরিচালক অরিন্দম দত্ত চন্দন।

সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি মিশফাক আহমদ মিশুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘এ দেশেকে বারবার অন্ধকার গ্রাস করতে চেয়েছে। কিন্তু সব অন্ধকারের বিরুদ্ধে মশাল হাতে মানুষকে আলো দিতে কাজ করেছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। যার প্রমাণ মিলেছে করোনা মহামারির সময়ে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন করোনায় টালমাটাল, সংস্কৃতিকর্মীরা তখন মানুষের সেবায় মগ্ন। করোনার ভয় উপেক্ষা করে কাজ করেছেন মানুষের জন্য।’

অনুষ্ঠানে সম্মিলিত নাট্য পরিষদের কার্যকরী পরিষদের পক্ষে সম্মাননাপ্রাপ্ত দুই গুণীজনের জীবনী পাঠ করেন ইন্দ্রানী সেন ও ফারজানা সুমি। ‘যাক কেটে যাক নিকষ কালো, মঞ্চে আবার জ্বালাও আলো’ এই সেøাগানে শুরু হওয়া নাট্য প্রদর্শনীর সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সন্ধ্যায় কবি নজরুল অডিটোরিয়াম মঞ্চে নীলাঞ্জনা দাস যুঁই’র নির্দেশনা ও শাহরিয়ার কবিরের রচনায় নৃত্যশৈলী সিলেট প্রদর্শন করে গীতিনাট্য ‘রূপান্তরের গান।’

উদ্বোধনী দিনের পরিবেশনা শেষে নৃত্যশৈলীকে সম্মিলিত নাট্য পরিষদের পক্ষ থেকে উৎসব স্মারক তুলে দেন নাট্যব্যক্তিত্ব উত্তম সিংহ রতন ও সাংবাদিক মুক্তাদির আহমদ মুক্তা। এদিকে অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল ভর্তি দর্শক উপস্থিত হন। উৎসবকে কেন্দ্র করে মুখরিত হয়ে উঠে অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গণ।

একুশের আলোকে নাট্য প্রদর্শনীর নাটক মঞ্চায়ন শুরু হবে আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টায়। প্রথম দিন লিটল থিয়েটার সিলেট মঞ্চায়ন করবে ‘ভাইবে রাধারমণ’। আগামী ২৭ মার্চ পর্যন্ত প্রতি শুক্র ও শনিবার কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে নাটক মঞ্চায়িত হবে।

উল্লেখ্য, উদ্বোধনী পর্বে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয় সম্মিলিত নাট্য পরিষদের দীর্ঘদিনের প্রধান পরিচালক সদ্য প্রয়াত গুণী নাট্যজন বীর মুক্তিযোদ্ধা নিজাম উদ্দিন লস্কর ময়নাকে। এ সময় তাঁর সম্মানে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

আরসি-০৩