অনন্ত হত্যা : সাক্ষী না আসায় পেছালো সাক্ষ্যগ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক


জানুয়ারি ২০, ২০২১
০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ২০, ২০২১
০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন



অনন্ত হত্যা : সাক্ষী না আসায় পেছালো সাক্ষ্যগ্রহণ

সিলেটে বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ (৩২) হত্যা মামলার সাক্ষীরা আদালতে সাক্ষ্য দিতে না আসায় সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়েছে। সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে গতকাল মঙ্গলবার সাক্ষ্য গ্রহণের নির্ধারিত তারিখ ছিল। সাক্ষীরা না আসায় ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল জজ মো. নুরুল আমিন সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম সিলেট মিররকে বলেন, ‘মঙ্গলবার এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ থাকলেও সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। এ পর্যন্ত আলোচিত এ মামলার ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। সাক্ষীদের আগামী তারিখে আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিতে বলেছেন আদালত। 

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে। আমরা সাক্ষীদের সাক্ষ্য দিতে সমন পাঠানোর কথা বলেছি।’

এদিকে নানা অজুহাতে বারবার মামলার তারিখ পিছিয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনন্ত বিজয় দাশের স্বজনরা। ৫ বছরেও এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হওয়ায় হতাশা তাদের কণ্ঠে। বিচার প্রাপ্তি নিয়েই শঙ্কা তৈরি হয়েছে তাদের মধ্যে। 

প্রসঙ্গত, গত ২০১৫ সালের ১২ মে সিলেট নগরের সুবিদবাজারের কলাপাড়া এলাকার নিজ বাসার সামনে খুন হন অনন্ত বিজয় দাশ। বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখির পাশাপাশি তিনি ‘যুক্তি’ নামে বিজ্ঞানবিষয়ক একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। এছাড়া বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন অনন্ত। 

হত্যাকাণ্ডের এক দিন পর অনন্তের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ বাদী হয়ে সিলেট বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এতে বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখির কারণে অনন্তকে ‘উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী’ পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। 

মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের মধ্যে কানাইঘাটের আবুল হোসেন (২৫), খালপাড় তালবাড়ির ফয়সাল আহমদ (২৭) ও সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বিরেন্দ্রনগরের (বাগলী) মামুনুর রশীদ (২৫) পলাতক। কানাইঘাটের পূর্ব ফালজুর গ্রামের মান্নান ইয়াইয়া ওরফে মান্নান রাহী ওরফে এ বি মান্নান ইয়াইয়া ওরফে ইবনে মঈন (২৪) মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়া সিলেট নগরের রিকাবীবাজার এলাকায় বসবাসকারী সাফিউর রহমান ফারাবী ওরফে ফারাবী সাফিউর রহমান (৩০) ও কানাইঘাটের ফালজুর গ্রামের আবুল খায়ের রশীদ আহমদ (২৫) কারাগারে আছেন। ফারাবী ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলারও আসামি। 

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবীরা জানান, গত ১৯ সালের ৭ মে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। কিন্তু সাক্ষীদের অনুপস্থিতির কারণে বারবার পেছানো হয় সাক্ষ্য গ্রহণ। দীর্ঘদিন সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলার পর গেল বছর মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। 

বিএ-১২