শীতের আমেজ পোশাক নিয়ে রানওয়ে ম্যানিয়াক মডেলরা

সিলেট মিরর ডেস্ক


জানুয়ারি ১০, ২০২১
০৪:১৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ১০, ২০২১
০৪:১৩ পূর্বাহ্ন



শীতের আমেজ পোশাক নিয়ে রানওয়ে ম্যানিয়াক মডেলরা

শীতের মাঝামাঝি সময়ে এক ভিন্ন ফটোশুটের আয়োজন করলো সিলেটের  রানওয়ে ম্যানিয়াক মডেল এজেন্সি। শীতের স্মার্ট পোশাক হিসেবে হুডি টি-শার্ট ও জ্যাকেট। বেশি পছন্দ করছেন তরুণরা। কেননা শীত নিবারণের পাশাপাশি নিজেকে আরেকটু স্মার্ট করতেই হুডি টি-শার্ট পরছেন অনেকেই। বাড়তি কানটুপি সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর ঝামেলা নেই আবার দেখতেও সুন্দর এবং স্টাইলিশ। এসব কারণেই হুডির প্রতি তরুণদের আগ্রহটা একটু বেশিই। যদিও সব বয়সের মানুষই এখন হুডি পরছেন। তবে এগিয়ে রয়েছেন তরুণরাই।

যে কারণে হুডি টি-শার্ট বা হুডি ফ্যাশনেবলদের কাছে প্রিয় ।শীতের জন্য খুবই আরামদায়ক আবার অত্যন্ত ফ্যাশনেবল। যে কোনো পোশাকে পরিবর্তন এনে দিতে পারে শুধু হুডি যোগ করার ফলে। আর শীতে তো এটা দারুণ কার্যকর।

একটা সময় হুডি ব্যবহার হতো শুধু জ্যাকেটেই। জিপারওয়ালা বা জিপার ছাড়া বড় পকেট থাকত তাতে। জরুরি জিনিস বহন করা, আবার মাথা ঢাকা দুটো প্রয়োজনই মিটতো। তবে এখন এর রূপ বদলেছে। শুধু জ্যাকেট নয়, সোয়েটার, টি-শার্ট নানা ধরনের পোশাকেই হুডি জুড়ে দেয়া হচ্ছে। সঙ্গে থাকছে হুডি। ছেলেদের ফুলস্লিভ হুডি টি-শার্ট, হুডি শার্ট, হুডি জ্যাকেট, হুডি সোয়েটার, ব্রকলাইন হুডি সোয়েটার, ব্যাটম্যান হুডির পাশাপাশি। হুডিওয়ালা টি-শার্টগুলোর কাটতি বেশি।

হুডি শার্টগুলো মূলত কটন আর জিন্স ফেব্রিক্সে তৈরি। কটনের শার্টগুলো চেক, জিন্স ফেব্রিক্সগুলো সাধারণত একরঙা হয়ে থাকে। কয়েকটিতে থাকে বোতাম লাগানোর ব্যবস্থা। বলা যায়, প্রায় হুডি টি-শার্ট চেইন রয়েছে আবার কিছু কিছু হুডিতে চেইন ছাড়া বাটন দেয়া থাকে। গত বছর বোতাম লাগান হুডি শার্ট বেশি চললেও এবার ফিক্সড হুডি ও চেইন হুডি বেশি জনপ্রিয়।

হুডি মানেই টু ইন ওয়ান এবং অনেক ফ্যাশনেবল একটি পোশাক। এখন শার্টের সঙ্গে টুপি হিসেবে হুডি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ইচ্ছা হলেই হুডি খুলে রাখা যায়। এটি দেখতেও খারাপ লাগে না। ফলে তরুণ প্রজন্মের কাছে হুডি টি-শার্ট জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ব্যাপকভাবে। হুডি ও  জ্যাকেট সবসময়ই ক্রেতাদের পছন্দ-অপছন্দকে অধিক মূল্যায়ন করে থাকে। পণ্যের মান ভালো রেখে দাম নাগালের মধ্যে রাখে।

রানওয়ে ম্যানিয়াক মডেল অ্যাজেন্সি সিলেটের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ফ্যাশন শোতে ফটোগ্রাফার ছিলেন এম ডি রানা। তার সহযোগী ছিলেন এম ডি নিজাম। ফ্যাশন ডিরেকশন হিসেবে মো. সুফিয়ান আলী, সহযোগী মডেল কো-অর্ডিনেটর মো. আশরাফ। মডেল হিসেবে ছিলেন  কাজী ইমন, কামরুল,শান্তনু, নাহিম, ফারাবি, ইমরান। মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করেছিলেন রাজিব দাস এবং পোশাক স্পন্সর করেছিল ফাস্টবয়।