সিলেট মিরর ডেস্ক
নভেম্বর ১৫, ২০২০
০৪:২৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ১৫, ২০২০
০৪:২৪ পূর্বাহ্ন
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে আবু ইউনুস মো. সহিদুন্নবী জুয়েলকে (৫০) পিটিয়ে ও পরে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন প্রধান আসামি আবুল হোসেন।
আবুল হোসেন জুয়েল হত্যাসহ দায়ের দুই মামলার এক নম্বর আসামি। শনিবার বিকেলে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। ওই ঘটনায় হেলাল উদ্দিন (৩২) নামে আরো এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বাড়ি পাটগ্রামের বুড়িমারী ইউনিয়নের বুড়িয়াটারী উফারমারা এলাকায়।
বুড়িমারীতে এ ঘটনায় দায়ের তিনটি মামলায় মোট ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। লালমনিরহাট ডিবি পুলিশের ওসি ওমর ফারুক শনিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, শনিবার প্রধান আসামি আবুল হোসেনের পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে লালমনিরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলি আদাত-২) আফাজ উদ্দিনের আদালতে তাকে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন প্রধান আসামি আবুল হোসেন। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন আফাজ উদ্দিনকে (৬০) লালমনিরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলি আদালত-৩) ফেরদৌসী বেগমের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শনিবার নতুন করে গ্রেপ্তার হেলাল উদ্দিনকে রোববার আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানা গেছে ।
বুড়িমারীর ওই ঘটনায় নিহত জুয়েলের চাচাতো ভাই সাইফুল আলম বাদী হয়ে হত্যা মামলা, পাটগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান আলী সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলা এবং বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙচুর মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেন।
তিন মামলায় ৩৪ আসামির মধ্যে মসজিদের আবুল হোসেন ও খাদেমসহ চারজন ইতিমধ্যেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আলোচিত তিন মামলায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
গত ২৯ অক্টোবর লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী কেন্দ্রীয় বাজার জামে মসজিদে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে জুয়েল ও তার সঙ্গী একই এলাকার সুলতান রুবায়াত সুমনকে গণপিটুনি দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে আটকে রাখেন স্থানীয়রা। পরে সন্ধ্যায় ইউপি ভবন ভেঙে প্রশাসনের উপস্থিতিতে জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করে স্থানীয়রা। এ সময় পাথরের আঘাতে পাটগ্রাম থানার ওসি সুমন কুমার মহন্তসহ ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশ জুয়েলের সঙ্গী রুবায়াত সুমনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
বিএ-১৭