মোবাইল কলরেট কম, তাই শুল্ক বাড়ানো হয়েছে : এনবিআর চেয়ারম্যান

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুন ১৩, ২০২০
০৪:২৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ১৩, ২০২০
০৪:৩০ পূর্বাহ্ন



মোবাইল কলরেট কম, তাই শুল্ক বাড়ানো হয়েছে : এনবিআর চেয়ারম্যান

‘বর্তমানে কলরেট অনেক কম তাই মাত্র ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে‘ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। 

আজ শুক্রবার (১২ জুন) নতুন অর্থবছরের (২০২০-২১) প্রস্তাবিত বাজেটোউত্তর এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মোবাইলে খরচ বাড়ানো হলো কেন- এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব না দিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যানকে উত্তর দিতে বলেন। উত্তরে এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, ‘মোবাইলে কলরেট কম, তাই অপ্রয়োজনীয় কথা বলার প্রবণতা বেড়ে গেছে। তবে কথা বলার প্রবণতা কমানোর জন্য কলরেটে আরও ৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়নি। বরং কলরেট কম তাই মাত্র ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা ব্যয়ের সক্ষমতা মানুষের আছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের একটা সমস্যা হচ্ছে কত শতাংশ বাড়ানো হলো সেটা বিবেচনা না করেই এর বিরোধিতা করা হয়। এক্ষেত্রে মাত্র ৫ শতাংশ শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এটাতে মানুষের তেমন ক্ষতি হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে মোবাইল কলরেটের হার এত কম যে অপ্রয়োজনীয় কথা বলার পরিমাণ বেড়ে গেছে। এতে করে কথা বলতে বলতে ট্রেনের সাথে অ্যাকসিডেন্ট করার ঘটনাও আছে। তবে আমরা কথা বেশি বলাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এ শুল্ক বাড়াইনি। বরং কলরেট খুব কম। তাই এক্ষেত্রে মাত্র ৫ শতাংশ শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।’

নতুন বাজেট ঘোষণার আগে মোবাইল ফোনে কথার বলার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ১ শতাংশ সারচার্জসহ মোট ২২ শতাংশ কর ছিলো। 

অর্থাৎ, কেউ মোবাইল ফোনে সিম বা রিম ব্যবহার করে ১০০ টাকার কথা বললে তাকে ২২ টাকা কর দিতে হতো সরকারকে। নতুন করে ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করায় এখন ১০০ টাকায় কর দিতে হবে মোট ২৭ টাকা।

এর অর্থ হলো একশ টাকার কথা বলা বা বার্তা দেওয়ার ব্যয় হলো ১২৭ টাকা যা আগে ছিলো ১২২ টাকা এবং কোম্পানিগুলো এ অর্থ নিজেরা দেবে না- বরং তারা এ অর্থ সরকারকে দেবে গ্রাহকের কাছ থেকে নিয়েই।

এনপি-০১