সিলেট মিরর ডেস্ক
জুন ১৩, ২০২০
০৩:০৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুন ১৩, ২০২০
০৩:০৮ পূর্বাহ্ন
নতুন অর্থবছরে প্রস্তাবিত ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে আশাবাদী অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। আজ শুক্রবার (১২ জুন) বাজেটোত্তর অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আশা প্রকাশ করেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অনলাইনে শুরু হয় বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন।
অনলান সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটি স্বাভাবিক সময়ের বাজেট নয়। তবে তা গতানুগতির ধারার বাজেট নয়। ডাটা ছিল না, তথ্য-উপাত্ত ছিল না। নির্ভর করতে হয়েছে অতীতের ওপর। মানুষ কী স্বপ্ন দেখে, তাদের প্রত্যয়, সেগুলো মূল্যায়ন করেছি। দাতাগোষ্ঠী, ইকোনমিক থিংক ট্যাংক, দেশীয় ও বিদেশি থিংক ট্যাংক, সবার মতামত নিয়ে বাজেট করেছি। স্বাভাবিক পথ ছিল রুদ্ধ, ভিন্নপথে করতে হয়েছে। সে কারণে দেখবেন অসঙ্গতি মনে হতে পারে অনেকের কাছে। কিন্তু এ ছাড়া উপায় ছিল না। বাজেট না থাকলে কীভাবে টাকা নেব? তাই বাজেট করতে হয়েছে।’
আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘এবারের বাজেট আমরা স্বাভাবিক নিয়মে করতে পারিনি। অতীত অর্জন ছিল ভিত্তি। ১০ বছরে সারাবিশ্বে সবার ওপর জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ। গত ৫ বছরে মাথাপিছু আয় সারাবিশ্বে সেরা। ভারত ও চীন সমান ছিল। আমরা এ সব অর্জন বিবেচনায় নিয়েছি।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার পর সারাবিশ্ব আমাদের নিয়ে কী ভাবছে, তা বিবেচনায় নিয়েছি। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, আইএমএফ- সবার মতামত নিয়ে বাজেট সাজিয়েছি। যেভাবে সাজিয়েছি, মনে করছি, বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো। যেহেতু আইএমএফ বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৯.৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করব। ভৌত অবকাঠামো তৈরি আছে। তাই ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারব বলে মনে করি।’
এবারের বাজেটের আকার ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতির পরিমাণ জিডিপি’র ৬ শতাংশ। বাজেটে মোট জিডিপি‘র আকার ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
এবারের বাজেটে এনবিআর থেকে আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআরের কর বহির্ভূত রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। অন্যান্য খাত থেকে আয় ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা।
আরসি-০৫/