সিলেট মিরর ডেস্ক
জুন ১২, ২০২০
০৫:১২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুন ১২, ২০২০
০৫:১৪ পূর্বাহ্ন
প্রস্তাবিত বাজেটকে অন্তঃসারশূ্ন্য বলে মনে করছে খেলাফত মজলিস। বিশাল অঙ্কের ঋণনির্ভর এই বাজেট জনদুর্ভোগ আরও বাড়াবে বলে মনে করছেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুন) সংগঠনটির আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের গণমাধ্যমে এক যৌথ বিবৃতিতে এই কথা বলেছেন।
তারা বলেন, বিশাল অংকের ঋণনির্ভর এ বাজেটে সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ আরো বাড়বে। প্রস্তাবিত এ বাজেটে ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বিশাল অংকের ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি মেটাতে দেশ-বিদেশ থেকে চড়া সূদে ঋণ নিতে হবে সরকারকে। আর রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা যা অর্জন সম্পূর্ণ অসম্ভব।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮.২ শতাংশ তা কোনভাবেই অর্জন সম্ভব নয়। বিশ্বব্যাংক ইতোমধ্যেই ধারণা দিয়েছে নতুন ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ১ শতাংশ। এরকম কল্পনা বিলাসী বাজেটে দেশের অর্থনীতি সামনে এগুবে না। দেশে বেকার সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। আর করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট বেকারত্বতো আছেই।
বিবৃতিতে তারা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জনগনের উপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপানো হয়েছে। করের আওতা বাড়িয়ে সাধারণ মানুষদের উপর নতুনভাবে করারোপ করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এ বছর ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যা গত বছরের সংশোধিত রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশী।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রতি বাজেটেই সরকার সাধারণ জনগণের উপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। নতুন বাজেটের মোবাইল ব্যবহার ব্যয়, ইন্টারনেট ব্যবহার ব্যয়, বাইসাইকেল ইত্যাদির দাম বাড়বে। বিশেষকরে মোবাইলে ১০০ টাকা ঢুকালে সরকার ২৫ টাকা নিয়ে নিবে। স্বাস্থখাতে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। বুর্জোয়া বান্ধব এ বাজেটে সাধারণ জনগণের কোন কল্যাণ হবে না। গরীব মারার এ বাজেট জনগণের কাছে কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য হবে না।
আরসি-১৩