সিলেট মিরর ডেস্ক
মে ১৪, ২০২০
০৯:২৯ অপরাহ্ন
আপডেট : মে ১৪, ২০২০
০৯:২৯ অপরাহ্ন
দশ টাকা কেজি দরের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে যে কার্ড দেওয়া হয়েছে, তা যাচাই-বাছাই করে সেখানে প্রকৃত গরিব ও দুঃস্থদের অন্তর্ভুক্ত করে নতুন তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গতকাল বুধবার তার সরকারি বাসভবন থেকে ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোর জেলা প্রশাসক এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করে এই নির্দেশ দেন। ২০১৬ সালে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করে সরকার। এর আওতায় সারা দেশে বছরে পাঁচ মাস অর্থাৎ, মার্চ-এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর-নভেম্বর ৫০ লাখ পরিবারকে কার্ডের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজিতে মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই তালিকায় থাকা সুবিধাভোগীদের নিয়ে অভিযোগ আসায় মন্ত্রী অতি দ্রুত তালিকা যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত গরিব ও দুঃস্থদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে নতুন করে তালিকা তৈরি করতে জেলা প্রশাসক এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের নির্দেশ দিয়েছেন। “এজন্য যে কোনো প্রকার হুমকি-ধমকিকে ভয় না করে, স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে থেকে প্রকৃত গরিব ও দুঃস্থদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।”
প্রয়োজনে প্রতিটি উপজেলায় আগে এই তালিকা তৈরির সময় যে কর্মকর্তাকে ট্যাগ অফিসার রাখা হয়েছিল তাকে বাদ দিয়ে নতুন কাউকে সেই দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।
ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনাভাইরাস মোকাবেলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই এবং সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি।
ধান-চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে উপজেলায় সংগ্রহ কমিটিকে ইউনিয়নে গিয়ে কৃষকের উপস্থিতিতে লটারি করারও নির্দেশনা দেন খাদ্যমন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত থেকে খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম সরকারি চালের বস্তার গায়ে স্টেনসিল ব্যবহার করা ছাড়াও খাদ্যবান্ধব, ওএমএসসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত চালের বস্তার গায়ে আলাদা আলাদা সিল ব্যবহারের কথাটি কর্মকর্তাদের স্মরণ করিয়ে দেন।
এনপি-০৬