শহীদ আহমদ চৌধুরী, ফেঞ্চুগঞ্জ
এপ্রিল ২৩, ২০২০
০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ২৩, ২০২০
০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন
করোনাভাইরাসে স্তব্ধ গোটা বিশ্ব। বাংলাদেশে যাতে এটি মহামারী না হয়, সেজন্য গত ১৬ মার্চ থেকে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মসজিদে নামাজের পরিধি ছোট করে আনা হয়েছে। গত ২৬ মার্চ থেকে অফিস-আদালতে সাধারণ ছুটি চলছে। বন্ধ রয়েছে যাবতীয় যান চলাচল ও দোকানপাট। মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। ঘরের বাইরে চলাচলে দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
তবে এমন অবস্থায়ও বন্ধ নেই সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় অবস্থত শাহজালাল সার কারখানার প্রকল্পের কাজ। এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা। তারা আশঙ্কা করছেন, এভাবে যদি কাজ চলতে থাকে তবে বড় ধরণের ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হবে এলাকার বাসিন্দাদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সার কারখানার আম বাগান কলোনির অর্ধেক ভেঙে শাহজালাল এনজিএফএফ স্কুল নির্মাণের কাজ চলছে। স্কুলের নির্মাণ কাজ শেষের পথে। স্কুলের ভেতরে চলছে রং ও ধোয়া-মোছার কাজ। আর বাইরে চলছে প্লাস্টার ও মাটি ভরাটের কাজ। খোলা মুখে গায়ে গা ঘেঁষে মাটি বহন করছেন শ্রমিকরা। আবার কয়েকজনকে বসে আড্ডাও দিতে দেখা যায়। পাশেই খেলাধুলা করছে কলোনির বাচ্চারা।
কিন্তু সেদিকে খেয়াল নেই সার কারখানা প্রশাসনের। মাঝে মধ্যে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সার কারখানা এলাকায় যাতায়াত করলেও এ বিষয়টিতে কোনো নজর নেই তাদের।
কথা হয় স্থানীয় শ্রমিক মিজানের সঙ্গে। তিনি প্লাস্টার শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করছেন। মিজান বলেন, জনৈক রাজ্জাক এই কাজ করাচ্ছেন। এই কাজ ঠিকাদার ফয়সলের।
মাটি কাটার কাজ করছেন মখলিছ আলী, শাহীন, রিতা, শুক্লা, সাহেদসহ বেশ কিছু শ্রমিক। কারো মুখে কোনো মাস্ক নেই। নেই বিশেষ কোনো পোশাক। তারা বলেন, তারা রাজ্জাকের কাজ করছেন। রোগ আছে জানেন, তবে কাজ না করলে খাবেন কী।
এ ব্যাপারে কথা হয় ঠিকাদার রাজ্জাকের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা কাজ করছি দূরত্ব বজায় রেখে। ঠিকাদার ফাইনাল বিল করবেন, তাই আমাদের কাজ করতে হচ্ছে।
আর ফোন করেও পাওয়া যায়নি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফয়সল এন্ড কোম্পানির সত্ত্বাধিকারী দিন মোহাম্মদ ফয়সলকে।
এ বিষয়ে জানতে কথা হয় শাহজালাল ফার্টিলাইজার প্রজেক্টের ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার মো. আনসার আলী সিকদারের সঙ্গে। তিনি বলেন, সামান্য কিছু কাজের মেয়াদ জুনে শেষ হয়ে যাবে। তবে মাস্ক ও সেফটি ব্যবহার না করে গা ঘেঁষে কাজ করা ঠিক নয়। কাল থেকে কাজ বন্ধ থাকবে।
এসএ/আরআর