সিলেটের ব্যবসায়ীদের জন্য হাজার কোটি টাকার প্রণোদনার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক


এপ্রিল ২২, ২০২০
১২:২৭ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২২, ২০২০
১২:২৮ পূর্বাহ্ন



সিলেটের ব্যবসায়ীদের জন্য হাজার কোটি টাকার প্রণোদনার আহ্বান
সিলেট চেম্বার

করোনা পরিস্থিতির কারণে চরম সংকটে পড়েছেন সিলেটের ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় চরমভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তারা। এ অবস্থায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সিলেটের ব্যবসায়ীদের জন্য এক হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। 

ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সিলেট চেম্বার থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে চেম্বার সভাপতি অবু তাহের মো. শোয়েব বলেন, ‘সিলেটে কোনো ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান নেই। সবাই ট্রেডিং ব্যবসা, আমদানি ও রপ্তানির সঙ্গে জড়িত। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ২৬ মার্চ থেকে শুধুমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ঔষধের দোকান ব্যতীত সকল ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে সারাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। সিলেটের ব্যবসায়ীরাও নজিরবিহীন আর্থিক ও ব্যবসায়িক সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছেন। সিলেটের ব্যবসায়ীদের এই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে প্রণোদনা ঘোষণা করা প্রয়োজন।’ 

চিঠিতে চেম্বার সভাপতি সিলেটের ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরে বলেন, ‘সার্ভিস সেক্টরের সঙ্গে যারা জড়িত যেমন- হোটেল, রেস্টুরেন্ট, গণপরিবহন ব্যবসাসহ প্রায় সব বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া ট্রেডিং ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছেন তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সিলেটের অনেক ব্যবসায়ী ঋণ গ্রহণপূর্বক ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে আসছিলেন। কিন্তু বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ঋণের কিস্তি প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই চলমান পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত সকল ব্যাংক ঋণের কিস্তি স্থগিত রাখা এবং বন্ধকালীন সময়ে সুদ মওকুফ করা প্রয়োজন। 

এছাড়া বন্ধকালীন সময়ে বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিল, হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফের ব্যবস্থা করা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের এককালীন প্রণোদনা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসার পূর্ব পর্যন্ত ভ্যাট রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়ার সময়সীমা জরিমানা ব্যতীত বৃদ্ধি বা সাময়িক বন্ধ রাখা, দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমদানিকৃত কয়লা ও পাথরের ব্যাংক ঋণ ও এলসিকৃত মার্জিনের ওপর সুদ মওকুফ করা, বন্ধ থাকা প্রতিষ্ঠানসমূহের যেসব কর্মচারী সম্পূর্ণভাবে বেতনের ওপর নির্ভরশীল তাদের বেতন প্রদানের ব্যবস্থা করার দাবি জানান আবু তাহের মো. শোয়েব।

 

এনপি-০৫/এএফ-১১