সিলেটে লকডাউন না মেনে রাস্তায় মানুষের ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক


এপ্রিল ২০, ২০২০
০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২০, ২০২০
১০:১৯ পূর্বাহ্ন



সিলেটে লকডাউন না মেনে রাস্তায় মানুষের ভিড়

দেশে প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তার সাথে বাড়ছে মৃত্যুও কিন্তু তবুও সিলেটের রাস্তায় কমছে না সাধারণ মানুষের ভিড়। করোনা মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন সিলেট জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করলেও অনেক মানুষ সরকারি এই নির্দেশ মানছেন না। বিভিন্ন প্রয়োজনে এবং অজুহাতে রাস্তায় বের হচ্ছেন মানুষজন। অপ্রয়োজনীয় যানবাহন আটকে দেয়ার পাশাপাশি অনেককে বুঝিয়ে বাসায় ফেরত পাঠানো হচ্ছে দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।

আজ রবিবার ( ১৯ এপ্রিল) নগরের বন্দরবাজার, লালদিঘির পাড়, সুরমা পয়েন্ট, রিকাবীবাজার, আম্বরখানাসহ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায় এই চিত্র। প্রচুর মানুষ ঘর থেকে বের হয়েছেন। কেউবা প্রয়োজনে আবার কেউ কোন কাজ ছাড়াই। এসময় রাস্তায় রিকশার পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যাক্তিগত গাড়ি চলতেও দেখা যায়।

সকাল ১১টায় নগরের বন্দর বাজার এলাকায় দেখা যায় সবকিছু চলছে সাধারণ দিনের মত। এসময় বন্দর পয়েন্ট থেকে সিটি পয়েন্ট পর্যন্ত দেখা মিলে দীর্ঘ জ্যাম। রাস্তার দুপাশে ভাসমান হকাররা তাদের বাজার বসিয়ে রেখেছেন সেখানেও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। কেউ মুখে মাস্ক লাগিয়েছেন আবার কারোর মুখে নেই মাস্ক। এই বেচা কেনার সময় ত্রেতা-বিক্রেতা কারোর মধ্যে সামাজিক দুরত্ব রাখতে দেখা যায়নি। সিলেট সিটি কপোরেশনের নির্দেশ অনুযায়ী ভাসমান হকাররা নগরের প্রধান সড়কে বাজার নিয়ে বসতে পারবেন না। কিন্তু এই নির্দেশনা মানছেনা হকাররা। নগরের অন্যান্য সড়কে গিয়ে দেখা মিলে একই অবস্থা।

এদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘরে থাকার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধ করার জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সামাজিক দূরত্বটা হলো-নিজের বাসায় থাকা, ভিড়ে না যাওয়া, একজন আরেকজনকে স্পর্শ না করা।

এবিষয়ে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সিলেট মিররকে বলেন, ‘ সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে আমাদের অভিযান চলমান আছে। প্রতিদিন পুলিশ ও সেনাবাহিনী জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে নগরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে। এছাড়া নগরের প্রধান সড়কে বাজার বসতে দেওয়া হবে না। এবিষয়ে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

এনএইচ/বিএ-১৩