ওসমানীনগর প্রতিনিধি
এপ্রিল ০৮, ২০২০
০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ০৮, ২০২০
০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন
সিলেটের ওসমানীনগরে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে কিশোরীর পিতা এবং স্থানীয় এক ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে ২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের পর পিতাকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার বুরুঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব তিলাপাড়া ও পশ্চিম সিরাজ নগর গ্রামে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বুরুঙ্গা ইউনিয়নের তিলাপাড়া গ্রামের আব্দুর নূরের কুনজর পড়ে তার ১৩ বছরের কন্যার উপর। দীর্ঘদিন ধরে নিজ মেয়েকে উক্ত্যক্ত করে আসছিলেন পিতা আব্দুর নূর। অবশেষে মেয়েটি তার মায়ের কাছে সবকিছু খুলে বলে। কিশোরীর মা বিষয়টি নিয়ে স্বামী আব্দুর নূরের মুখোমুখি হলে আব্দুর নূর স্ত্রী ও মেয়ের উপর নির্যাতন চালান। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে সন্তানদের নিয়ে বসতঘরের পৃথক একটি কক্ষে ঘুমান কিশোরীর মা। রাত ১টার দিকে আব্দুর নূর ঘুম থেকে জেগে নিজের কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় মেয়েটি চিৎকার করলে কিশোরীর মা জেগে উঠে তাকে বাধা দিলে আব্দুর নূর স্ত্রী ও মেয়েকে মারধর করেন। পরদিন ভোরে কিশোরীর মা তার তিন সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান।
পরবর্তীতে গত ৫ মার্চ কিশোরীর মা কিশোরীকে নিয়ে স্থানীয় বুরুঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম জি রাসুল খালেক লটইয়ের বাড়িতে এসে স্বামীর ব্যাপারে বিচার প্রার্থী হন। এ সময় চেয়ারম্যান এম জি রাসুল খালেক লটই ওই কিশোরীকে তার কাছে ডেকে নেন ও বিচার করে দেওয়ার আশ্বাসে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে কিশোরীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন কিশোরীর মা বাধা প্রদান করেলে চেয়ারম্যান উত্তেজিত হয়ে তাদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। অবশেষে কিশোরীর মা ফাইমা বেগম বাদী হয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে স্বামী আব্দুর নূর ও চেয়ারম্যান এম জি রাসুল খালেক লটইকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
কিশোরীর মা ফাইমা বেগম বলেন, নিজের মেয়ের উপর তার পিতা কুনজর দেওয়ার কারণে আমি তাদের নিয়ে আমার পিতার বাড়িতে চলে যাই। এ ঘটনায় বিচার প্রার্থী হয়ে বুরুঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম জি রাসুল খালেক লটইয়ের কাছে যাই। কিন্তু চেয়ারম্যান বিচারের আশ্বাসে আমার মেয়ের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। নিরূপায় হয়ে আমি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি। আমি এই দু'জনের ন্যাক্কারজনক কাজের শাস্তি চাই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার এসআই সফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর কিশোরীর পিতাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।