নিজস্ব প্রতিবেদক
এপ্রিল ০৩, ২০২০
০৩:২৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ০৩, ২০২০
০৩:২৭ পূর্বাহ্ন
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে চলছে সাধারণ ছুটি। সারাদেশের মতো সিলেটেও বন্ধ রয়েছে দোকানপাট, আদালতসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় ঘরবন্দি নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু খাদ্য সহায়তা না পাওয়ায় বেকায়দায় পড়ছেন মধ্যবিত্তরা। তারা না পারছেন অভাব মেটাতে, না পাচ্ছেন ত্রাণ সহায়তা। এ অবস্থায় অনেক পরিবারের পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে।
সিলেটের আম্বরখানার মুদি দোকানদার সুহেদ আহমেদ বলেন, আম্বরখানায় আমার একটি মুদি দোকান আছে। এটা দিয়ে তিন সন্তানসহ পরিবার ভালোভাবেই চলে। কিন্তু প্রায় এক সপ্তাহ ধরে দোকান বন্ধ। দোকান না খুললে তো আর আয় হবে না। এদিকে মাস শেষ হয়েছে। বাসা ভাড়া, বাচ্চাদের স্কুলের বেতন দিতে হবে। কীভাবে কী করব বুঝে উঠতে পারছি না।’
মধ্যবিত্তদের অনেকেই আছেন যারা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। কিন্তু এই অবস্থায় কবে প্রতিষ্ঠান খুলবে আর খুললেও বেতন পাওয়া ও চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন তারা। তেমনি একজন রফিকুল ইসলাম । তিনি সিলেট মিররকে বলেন, ‘ধনীদের বাসায় টাকা আছে, আর গরিব-নিম্নবিত্তরা কিছুটা হলেও ত্রাণ সামগ্রী পাচ্ছেন। কিন্তু আমাদের কী হবে ? আমরা কীভাবে সংসার চালাব।’
তিনি আরও জানান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করি এ অবস্থায় বেতন পাব কি না আর আদৌ চাকরি থাকবে কি-না সে চিন্তায় আছি।’
যারা দৈনিক আয় করেন তারা পড়েছেন মহা বিপদে। সাধারণ ছুটি যত বাড়ছে ততোই বিপদ বাড়ছে তাদের। এমনি একজনের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। আইন পেশায় নিযুক্ত লিটন চৌধুরী বলেন, ‘সবাই নিম্নবিত্ত আর গরিবদের নিয়ে কথা বলছেন। কিন্ত আমাদেরকে (মধ্যবিত্তরা) দেখার কেউ নেই। আমাদেরকে লুকিয়ে নিজেদের চোখের পানি মুছতে হচ্ছে। যতদিন অফিস-আদালত খুলছে না ততদিন আমরা বেকার। সব স্বাভাবিক হবে- এই আশা করা ছাড়া আপাতত আর কিছু করার নেই।’
এনএইচ/এনপি-০৫/বিএ-১০