চোরাকারবারির হাতে বিরল ২৫ পাখি, সীমান্তে রেড অ্যালার্ট জারি

সিলেট মিরর ডেস্ক


সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫
০১:৪৪ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫
০১:৪৭ অপরাহ্ন



চোরাকারবারির হাতে বিরল ২৫ পাখি, সীমান্তে রেড অ্যালার্ট জারি

চোরাকারবারির হাতে বিরল ২৫ পাখি, সীমান্তে রেড অ্যালার্ট জারি


ঢাকা বিমানবন্দর থেকে দুই বছর আগে জব্দ হওয়া বিরল প্রজাতির ২৫টি পাখি চোরাকারবারিদের হাতে চলে গেছে। আন্তর্জাতিকভাবে সুরক্ষিত এই পাখিগুলো উদ্ধারে বন বিভাগ, জাতীয় চিড়িয়াখানা, কাস্টমস, বিজিবি ও পুলিশ মাঠে নেমেছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য ইন্টারপোল ও সাউথ এশিয়ান ওয়াইল্ডলাইফ এনফোর্সমেন্ট নেটওয়ার্কের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে দেশের সীমান্ত এলাকায়।

জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৩০ আগস্ট ভুল তথ্য দিয়ে রাজধানীর কাঁটাবনের প্রতিষ্ঠান কাশবি এন্টারপ্রাইজ সাইপ্রাস থেকে ৩৬টি বিরল প্রজাতির পাখি আমদানি করে। এর মধ্যে ছিল হাইচিন, গ্রিন ইউং, রেড ফ্রন্টেড, ব্লু থ্রোটেড, মিলিটারি, স্কারলেট, রুবালিনা এবং রেড ম্যাকাও পাখি। তবে বিমানবন্দরে কাস্টমস ও বন বিভাগ পাখিগুলো জব্দ করে এবং আমদানিকারক কিশোর মিত্রকে অর্থদণ্ড ও তার প্রতিষ্ঠানের সব লাইসেন্স বাতিল করা হয়। পরে পাখিগুলো হস্তান্তর করা হয় জাতীয় চিড়িয়াখানায়।

সেখানে ১১টি পাখি মারা যায়। বাকি ২৫টি নিয়ে শুরু হয় আইনি জটিলতা। চলতি বছর ১৬ এপ্রিল কিশোর মিত্র কাস্টমস, বন বিভাগ ও চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করে পাখিগুলো তাকে দেওয়ার দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। আদালত তাকে পাখি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন।

বন বিভাগের আপত্তির পরও ২০ জুলাই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ কিশোর মিত্রকে পাখি বুঝিয়ে দেয়। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে শুরুতে তৎপর থাকলেও জটিলতা এড়াতে আইনি পদক্ষেপ নেয়নি 

পরে ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে আপিল করে বন বিভাগ। এর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাখিগুলো প্রধান বন সংরক্ষকের দপ্তরে হস্তান্তরের জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন আদালত। তবে তার আগেই পাখিগুলো কিশোর মিত্রর কাছে হস্তান্তর করে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এখন আমদানিকারক কিশোর মিত্র ও পাখিগুলোর সন্ধান মিলছে না।

তার বর্তমান ঠিকানা নারায়ণগঞ্জ। গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও তার প্রতিষ্ঠান ঢাকার মিরপুরে খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা শারমীন আক্তার জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইন্টারপোল ও সাউথ এশিয়ান ওয়াইল্ডলাইফ এনফোর্সমেন্ট নেটওয়ার্কের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট এবং ঢাকার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।

জিসি / ০১