নিজস্ব প্রতিবেদক
                        সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫
                        
                        ১১:০৭ অপরাহ্ন
                        	
                        আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫
                        
                        ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন
                             	
                        
            
    এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান এবং সনাতন পদ্ধতিতে পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। স্মারকলিপিতে তারা বলেছেন- সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় বৈধ ক্রাশার মিলে তীব্র বিদ্যুৎ সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। প্রতিদিন বিদ্যুৎ না থাকায় কোটি কোটি টাকার আমদানি করা চুনাপাথর ভাঙা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, ফলে ব্যবসা বন্ধ থাকায় ও শ্রমিকরা কাজ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এসব দাবিতে সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন সিলেট জেলা পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, গত জুন থেকে আগস্ট মাসে সরকারের নির্দেশে হঠাৎ করেই ক্রাশার মিলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনো পর্যন্ত সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। ফলে প্রতি মাসে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল, কর্মচারীর বেতন, জমি ভাড়া ও অন্যান্য খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অনেকে ব্যাংক ঋণের মূলধন ভেঙে খরচ চালাচ্ছেন। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শুধু ব্যবসায়ী নয়, হাজারো শ্রমজীবী পরিবার। কাজ না থাকায় অনেকেই অনাহারে–অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে এই শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন সংগঠনের নেতারা।
ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের অভিযোগ, অতীতের রাজনৈতিক সরকারের সময় বিদেশ থেকে পাথর আমদানিকারক সিন্ডিকেটকে সুবিধা দিতে ইচ্ছাকৃতভাবে কোয়ারীগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরিবেশের অজুহাতে আদালতের আদেশে কোয়ারী থেকে উত্তোলন বন্ধ হলেও পরবর্তীতে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ী–শ্রমিকরা।
তাদের দাবি, পর্যটন এলাকা বাদ দিয়ে সিলেটের কোয়ারীগুলো খুলে দেওয়া হলে অন্তত পাঁচ লক্ষাধিক শ্রমিকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে। কিন্তু নানা অজুহাতে সেই দাবি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তাই শ্রমজীবী মানুষদের আকুতি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ক্রাশার মিলে দ্রুত সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়া হোক এবং পর্যটন এলাকা বাদে সনাতন পদ্ধতিতে সিলেটের পাথর কোয়ারী সচল করা হোক। কারণ, এটি কেবল ব্যবসার প্রশ্ন নয়, বরং লক্ষাধিক পরিবারকে অনাহার থেকে বাঁচানোর একমাত্র উপায়।
তারা আরও উল্লেখ করেন, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ক্রাশার মিল বন্ধ থাকলেও প্রতি মাসে ব্যবসা না করেও লক্ষাধিক দিক টাকা খরচ হচ্ছে। তাই সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয় ক্রাশার মিল এলাকায় অবিলম্বে বিদ্যুতের স্বাভাবিক সরবরাহ নিশ্চিত করে ব্যবসার পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ার অনুরোধ করেন।
অন্যথায় শ্রমিক-ব্যবসায়ীরা কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন সংগঠনের আহ্বায়ক আব্দুল জলিল, সদস্য সচিব নাজির আহমদ স্বপন ও যুগ্ম আহ্বায়ক দিলু মিয়া সহ নেতৃবৃন্দ।
এএফ/০৪