নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ২৫, ২০২৫
০৮:৪২ অপরাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ২৫, ২০২৫
০৮:৪২ অপরাহ্ন
আলী আমজদের ঘড়িঘর। সিলেট জেলার আইকনিক নির্দেশনা। সিলেট বললেই মানুষের মনে অবচেতনভাবে ভেসে উঠা-আলী আমজদের ঘড়িঘর সীমানার ভেতর নির্মাণ করা হচ্ছে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ‘। নির্মাণ কাজ শুরুর পর আংশিক শেষ হয়েছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পড় বইছে নিন্দার ঝড়। ক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজও। তাদের বক্তব্য, জুলাই শহীদদের স্মরণে ‘স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণকে অবশ্যই আমরা স্বাগত জানাই। তবে তার জন্য কী সিলেটে জায়গার অভাব দেখা পড়েছে যে ঐতিহ্যবাহ আলী আমজদের ঘড়িঘরেই করতে হবে।’
জানা গেছে, পাথর লুটকাণ্ডে বিতর্কিত হয়ে সদ্য প্রত্যাহার হওয়া জেলা প্রশাসক (ডিসি) শের মোহাম্মদ মাহবুব মুরাদের নেতৃত্বাধীন কমিটিই জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য এ স্থানের অনুমোদন দিয়েছে। অথচ ঐতিহ্যবাহী আলী আমজদের ঘড়িঘরের সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক)। সিসিক জানায়, জাতীয় প্রকল্প হিসেবে জেলার বিভিন্ন স্থানে একই ধরনের স্তম্ভ নির্মিত হচ্ছে; সিলেট অংশের স্থান নির্ধারণ করেছে জেলা প্রশাসন ‘
সিসিকের প্রধান নির্বাহী রেজাউল করিম বলেন, জুলাই বিপ্লবের বছরপূর্তিতে দ্রুত স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনা হলে ভালো হতো।
নাগরিক সমাজের অভিযোগ: কিন্তু সাংস্কৃতিক অঙ্গন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের অভিযোগ—এভাবে স্থাপনা নির্মাণ হলে ঐতিহাসিক ঘড়িঘরের সৌন্দর্য বিনষ্ট হবে এবং স্থাপত্য শৈলীর গুরুত্ব হারাবে। সাবেক ডিসির এ সিদ্ধান্তকে তারা ‘কুকাণ্ড’ আখ্যা দিয়ে স্মৃতিস্তম্ভটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
আলী আমজদের প্রপৌত্র নবাব আলী হাসিব খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ঘড়িঘর সিলেটের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই নতুন কোনো স্থাপনা দিয়ে এটিকে ঢেকে ফেলার প্রচেষ্টা মেনে নেয়া হবে না। একই সুরে কথা বলেছেন সাবেক সাংসদ নবাব আলী আব্বাস খান এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক ইব্রাহিম চৌধুরী খোকন।
আজ সোমবার নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে নতুন জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে স্মৃতিস্তম্ভটি সরিয়ে নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। ডিসি জানিয়েছেন, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এএফ/০৩