সিলেট মিরর ডেস্ক
মে ১২, ২০২৫
১২:৫১ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ১২, ২০২৫
১২:৫১ পূর্বাহ্ন
সিলেটের কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আফসার উদ্দিন আহমেদকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। রবিবার (১১ মে) দুপুরে উপজেলার চটিগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে সদর ইউনিয়নের চটিগ্রামে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন। যাওয়ার পথে একটি রাস্তার উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনের সময় স্থানীয় কিছু লোকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় আত্মরক্ষার্থে মসজিদে আশ্রয় নেনে তিনি। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা ধাওয়া করলে একপর্যায়ে মারধররের শিকার হন আফসার। পরবর্তীতে উত্তেজিত জনতা তাঁকে ধরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুনুর রশীদের বাড়িতে নিয়ে যায়।
এদিকে, এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুন রশিদের বাড়ির একটি কক্ষে বেশ কিছু সময় কথাবার্তা হয়। এ সময় সেখানে এলাকার লোকজনও উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে বিএনপির নেতা মামুনুর রশীদ বলেন, 'চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এলাকার মানুষকে অনেক কষ্ট দিয়েছেন। তাঁর ভাই আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিমের সহপাঠী। সেই ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি এলাকার মানষকে খুব অত্যাচার করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার মামলা আছে।'
তিনি বলেন, এলাকার মানুষ আফসার উদ্দিনকে ধরে তাঁর বাড়ি নিয়ে আসে। তিনি তাঁকে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে রেখে রক্ষা করেছেন। ইউপি নির্বাচনের সময় ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে আফসার উদ্দিন তাঁকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছেন উল্লেখ করে মামুনুর রশীদ বলেন, কোনো সভা সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তাঁর ব্যানার কেড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কানাইঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু সায়েম বলেন, 'কানাইঘাট সদর ইউপির চেয়ারম্যানকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছেন। বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাকে কোর্টে প্রেরন করা হয়েছে।'
এএফ/০৫