সিলেট মিরর ডেস্ক
আগস্ট ১৫, ২০২৪
০৮:০১ পূর্বাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ১৫, ২০২৪
০৭:৩৯ অপরাহ্ন
আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের আজকের দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে সেনাবাহিনীর বিপথগামী কিছু সদস্য। আওয়ামী লীগ দিনটিকে শোক দিবস হিসেবে পালন করে।
এবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হবে ভিন্ন এক পরিস্থিতিতে। দলীয়ভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করা হলেও সিলেট বা অন্যান্য জেলায় কর্মসূচি পালনের কোনো উদ্যোগের বিষয়ে জানা যায়নি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঘোষিত ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে এ বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপে ব্যাপক ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঘোষিত ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিলের বিষয়টি উপদেষ্টামণ্ডলীর বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বৃহস্পতিবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টাসহ এ সরকারের সদস্যসংখ্যা ১৭। গত মঙ্গলবার উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্য উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে একদিন অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছিল।
সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পৃথক বৈঠক হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। বিএনপি-জামায়াত ছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চ, সিপিবি, বাসদ, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, এবি পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ও গণ অধিকার পরিষদের দুই অংশের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হবে কি না, সে বিষয়ে আলোচনা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোররাতে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে সে সময়ের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনে হামলা চালায় সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য। হামলা চালানো হয় বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি ও ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায়। নারী-শিশু-নির্বিশেষে হত্যা করে নৃশংসতার এক জঘন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে খুনিরা। বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত এবং তাঁর ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনি, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আত্মীয় আব্দুল নাঈম খান রিন্টুকে হত্যা করে খুনিরা।
এএফ/০৪