সিলেটে নাগরিক আলেম সমাজের ‘গণধিক্কার’ কর্মসূচি

সিলেট মিরর ডেস্ক


আগস্ট ০৩, ২০২৪
১১:৫৫ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ০৪, ২০২৪
১২:০৫ পূর্বাহ্ন



সিলেটে নাগরিক আলেম সমাজের ‘গণধিক্কার’ কর্মসূচি


‘দ্রোহে-ক্ষোভে কাঁপছে দেশ/ রক্তাক্ত বাংলাদেশ, দমন-পীড়ন, অত্যাচার/ ধিক্কার ধিক্কার‘সহ নানা স্লোগানে সিলেটে পালিত হয়েছে ‘গণধিক্কার’ কর্মসূচি। 

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে ‘হত্যা, গুলি, গণগ্রেপ্তার ও নির্যাতনে’র প্রতিবাদে আজ শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে নগরের বন্দরবাজার এলাকায় এ কর্মসূচির আয়োজন করেন ‘নাগরিক আলেমসমাজ’। এতে অংশ নেন সর্বস্তরের আলেম ও ছাত্রজনতা।

সমন্বয়ক মুতিউল মুরসালিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখানে নাগরিক আলেম সমাজের প্রধান সমন্বয়ক সাংবাদিক নোমান বিন আরমান, সমন্বয়ক মাওলানা হাসান ফয়েজ, লেখক হক নাওয়াজ, লেখক হুসাইন ফাহিম, মাওলানা আদিব আহমদ, লেখক কবির আহমদ খান ছাত্রনেতা আবু তাহের। এছাড়াও কর্মসূচিতে একাত্মতা জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুল্লাহ মনসুর, মাওলানা আলাউদ্দিন, মাওলানা আসলাম ফুয়াদ, মিনহাজুস সিরাজ, মাওলানা আমজাদ আহমদ, মাওলানা আরিফুর রশিদ, সংগঠক যুবায়ের মুহাম্মদ, ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ নোমান, আরশাদ শামসী, নুর উদ্দিন নোমান, যায়েদ রাহমান, মুজিবুর রহমান খান প্রমূখ।

গণধিক্কারে প্রধান সমন্বয়ক সাংবাদিক নোমান বিন আরমান তার বক্তব্যে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। ঘরের মধ্যে থাকা নিষ্পাপ শিশুরে জীবন গিয়েছে সরকারি বাহিনীর বুলেটে। ঘর থেকে রাজপথ কোথাও নিরাপদ নয় মানুষ। এরপরও প্রধানমন্ত্রী বলেন- তার দোষটা কী! এতগুলো মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতা ও দায়িত্বহীন কথাবার্তার কারণে তার শাসনের প্রতি জনগণের বুকে দ্রোহ আর ধিক্কার জন্ম নিয়েছে। অনিরাপ অবস্থায় একটি দেশ চলতে পারে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার দম্ভ ও অবহেলায় পরিস্থিতি সামলানোর সকল সুযোগ হাতছাড়া করেছে। এখন দায় অবিলম্ব পদত্যাগ করে জনতার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।’

কর্মসূচি থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ন্যায্য সকল দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে সকল হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও আন্তর্জাতিক তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার দাবি করে নাগরিক আলেমসমাজ।


এএফ/১২