মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে সঙ্কট সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা: প্রতিমন্ত্রী শফিক

নিজস্ব প্রতিবেদক


জুন ০১, ২০২৪
০৯:২৪ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ০২, ২০২৪
১০:৫৮ অপরাহ্ন



মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে সঙ্কট সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা: প্রতিমন্ত্রী শফিক


মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে যারা জটিলতা তৈরি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি করা হচ্ছে। তদন্তে যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

আজ শনিবার (১ জুন) দুপুরে সিলেট নগরের সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কর্মীদের পাঠাতে বিশেষ ২২টি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। এরপরও শেষ হয়নি। এই যে মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়েছে, এই ভোগান্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য যারা দায়ী, তাদের ব্যাপারে আমরা তদন্ত কমিটি করব। যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়ায় ৫ লাখের উপরে কর্মী প্রেরণের জন্য মালয়েশিয়া সরকার কোটা দিয়েছিল। সেই কোটা পূরণে কাজ করেছিল বাংলাদেশ। এর প্রেক্ষিতে রিক্রুটিং এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। গত মাসের ১৫ তারিখে তাদের সঙ্গে সর্বশেষ সভা করে তাদের আমি বলেছি, চূড়ান্ত তালিকা করার জন্য। কত জন বাকি রয়েছে, কিভাবে যাবে না যাবে, ভিসার জন্য কত জন বাকি এসবের তালিকা দাখিলের জন্য। কিন্তু তারা তালিকা দিতে পারেনি।’

সময়সীমা বাড়ানোর জন্য মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ সমস্যা সমাধানে আমাদের অ্যাম্বেসি ও মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। এ সঙ্কট তৈরির পেছনে যে বা যারা জড়িত তা অনুসন্ধান করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকার চায় বৈধপথে শ্রমিক বিদেশে যাবে, বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাবে। আমাদের উদ্দেশ্য হয়রানি করা না, যারা হয়রানি করছে তাদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 এর আগে নগরের আলিয়া মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী। পরে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় অতিথি ছিলেন সিলেট-৫ আসনের সাংসদ হুছামুদ্দিন চৌধুরী, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান ও মাদ্রাসার বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।


এএফ/০২