সিলেট মিরর ডেস্ক
জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
০২:০৬ অপরাহ্ন
আপডেট : জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
০২:০৬ অপরাহ্ন
বাংলা ভাষার গুরুত্বপূর্ণ কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ফেরত দিয়েছেন।
আজ রবিবার (২৮ জানুয়ারি) তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ তথ্য জানিয়ে বাংলা একাডেমি বরাবর এক লাখ টাকা অর্থমূল্য ফেরতের ব্যাংক চেকের ছবি পোস্ট করেন। ফেসবুক পোস্টে তাঁর চিঠির সূচনা অংশটি প্রদর্শিত হচ্ছিল।
এ প্রসঙ্গে জাকির তালুকদার বলেন, ‘আমি বাংলা একাডেমি পুরস্কার ফেরত দিয়েছি। এই মর্মে আমি একটা চিঠি নাটোর থেকে পোস্ট করেছি। তা এক-দুই দিনের মধ্যেই মহাপরিচালক সাহেব পেয়ে যাবেন।’
কেন এই পুরস্কার ফেরত দিলেন– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলা একাডেমির গণতন্ত্রহীনতা ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে আমার এই পুরস্কার ফেরত দেওয়া। প্রতিষ্ঠানটিতে আড়াই দশকব্যাপী নির্বাচন হয় না। প্রতিষ্ঠান যখন সুনাম হারায়, তখন তার মূল্য থাকে না। এ কারণেই আমি বাংলা একাডেমি পুরস্কার ফেরত দিয়েছি।’
বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলা একাডেমি পুরস্কার নিয়ে নানারকম সমালোচনা তৈরি হয়। অভিযোগ আছে– নানা রকম সম্পর্কের ভিত্তিতে একাডেমি পুরস্কার দিয়ে থাকে। গত ২৪ জানুয়ারি (বুধবার) বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ ঘোষণা করা হয়। এবারও পুরস্কারপ্রাপ্তদের কয়েকজনকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ঠিক এই সময়ে জাকির তালুকদারের মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ কথাসাহিত্যিক বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ফেরত দেওয়ায় আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জাকির তালুকদার তাঁর মুসলমানমঙ্গল গ্রন্থের জন্য ২০১৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন। ১০ বছর পর তিনি এটি ফেরত দিলেন।
জাকির তালুকদারের পুরস্কার ফেরত দেওয়া প্রসঙ্গে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ‘আমার কাছে এখনো (পুরস্কারের অর্থ ও সম্মাননা স্মারক) এসে পৌঁছায়নি। এত দিন পর পুরস্কার ফেরত দেওয়া যায় কি না, আমি ঠিক জানি না।’
কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদারের ২৪টির বেশি সাহিত্যকর্ম আছে। এর মধ্যে ‘পিতৃগণ’, ‘কুরসিনামা’, ‘কবি ও কামিনী’, ‘ছায়াবাস্তব’, ‘রাজার সেপাই’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
এএফ/০৬