সিলেট মিরর ডেস্ক
ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩
০২:০০ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩
০২:০০ পূর্বাহ্ন
একাত্তরে শহীদ জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে শুরু হলো ‘আমরা তোমাদের ভুলবো না’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী শ্রুতি বিভাগীয় আবৃত্তি উৎসব।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রদীপ প্রজ্জলনের মধ্যে দিয়ে তিন দিনের এই আবৃত্তি উৎসব। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এর আয়োজন করেছে সিলেটের অন্যতম সংস্কৃতি সংগঠন শ্রুতি।
তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠান মালার সূচনাপর্বে প্রথমদিন আজ বিকাল ৪ টায় কবি নজরুল অডিটোরিয়ামের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে কবিতা পাঠের আয়োজন।
‘আমরা তোমাদের ভুলবো না’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রদীপ প্রজ্জ্বালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ছিল একক এবং সমবেত আবৃত্তি পরিবেশনা, কবি কন্ঠে কবিতা,পুঁথিপাঠ,নৃত্য। এতে উপস্থিত ছিলেন নন্দিত আবৃত্তিশিল্পীবৃন্দ।
দুটিপর্বে আয়োজিত প্রথম দিনের অনুষ্ঠানের প্রথমপর্বে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদের সদস্যসচিব বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী রূপা চক্রবর্তী,।
প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহ।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি তুষার কর, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মোকাদ্দেস বাবুল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সভাপতি শামসুল আলম সেলিম, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন শ্রুতি সিলেটের সদস্যসচিব সুকান্ত গুপ্ত।
দ্বিতীয় পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার নিরাজ কুমার জসওয়াল ছিলেন শ্রুতি সমন্বয়ক সুমন্ত গুপ্ত ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন গৌরবদীপ্ত চুড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় ১৬ ডিসেম্বর। বাঙালি অর্জন করে নিজস্ব ভূ-খণ্ড আর সবুজের বুকে লাল সূর্য খচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা। বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্নপূরণ হবার পাশাপাশি বহু তরতাজা প্রাণ বিসর্জন আর মা-বোনের সম্ভ্রম হারানোর বেদনার কথা মনে করিয়ে দেয় এই ডিসেম্বর। ডিসেম্বর মাস আমাদের জাগ্রত করে। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পৌঁছে দেয়া অত্যান্ন গুরুত্বপূর্ণ। সংস্কৃতির প্রায়োগিক শাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো আবৃত্তি। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ সহ নানা রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক পটভূমিতে আবৃত্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আবৃত্তির মাধ্যমেই নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারবে। বক্তারা বিজয়ের মাসে শ্রুতির তিনদিন ব্যাপী আবৃত্তি উৎসবের প্রশংসা করেন।
আবৃত্তি অনুষ্ঠানে সমবেত পরিবেশনায় অংশ গ্রহন করে চারুবাক,পাঠশালা,দ্বৈতস্বর,নৃত্যরথ,মুক্তাক্ষর,দীপ্তর্শী,নৃত্যসুধা,ললিত মঞ্জরী,সুবর্ণযাত্রা। কবি কন্ঠে কবিতায় অংশ গ্রহন করেন কবি মোস্তাক আহমদ দীন,মোহাম্মদ হোসাইন, পুলিন রায় এবং সুমন বনিক।
একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন নন্দিত আবৃত্তিশিল্পী মোকাদ্দেস বাবুল, জ্যোতি ভট্টাচার্য, নন্দিতা দত্ত, নাজমা পারভীন প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন সিলেটের বিভিন্ন জেলা হতে আগত অতিথি শিল্পীবৃন্দ। বিভিন্ন জেলা হতে আগত অতিথি শিল্পীদের মধ্যে একক পরিবেশনায় অংশ নেন সৈয়দ মনসুর আহমেদ সোমেল, ইশিতা রায়, সেঁজুতি তরফদার হৃদি,ইশিতা রায়,জয়া রানী কর প্রমুখ।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন আগামীকাল ১৫ ডিসেম্বর ২৩ শুক্রবার সকাল ১০ টায় সারদা হল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে বিষয় ও বিভাগ ভিত্তিক আবৃত্তি প্রতিযোগিতা। বিকাল ৩ টায় অনুষ্ঠিত হবে শহিদ স্মৃতি উদ্যান, সিলেট ক্যাডেট কলেজ অভিমুখে কবিতার মিছিল। এতে উপস্থিত থাকবেন বীরমুক্তিযোদ্ধা বেদানন্দ ভট্টাচার্য। উৎসবের তৃতীয় দিনে বিকাল ৪ টায় অনুষ্ঠিত হবে আলোর মিছিল। উল্লেখ্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় তিনদিন ব্যাপী আবৃত্তি উৎসব পরবর্তীতে চট্টগ্রাম, ঢাকা,রংপুর সহ বিভাগীয় শহর গুলোতে অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তী আয়োজন মালায় সবার উপস্থিতি একান্ত কামনা করা হয়েছে।
এএফ/১১