সিলেট-২ আসনে নৌকার মনোনয়ন চান জগলু চৌধুরী

সিলেট মিরর ডেস্ক


নভেম্বর ১৪, ২০২৩
০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ১৪, ২০২৩
০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন



সিলেট-২ আসনে নৌকার মনোনয়ন চান জগলু চৌধুরী
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চান সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আস্থা রেখে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলে বিশ্বনাথ-ওসমানীনগরের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে আমাকে ভোট দেবেন বলে আমি আশাবাদি।

আজ সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে সিলেটের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টের হল রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। 

জগলু চৌধুরী সিলেট-২ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেতে দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চান। 

মতবিনিময় সভায় জগলু চৌধুরী বলেন, ‘২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা অবগত। তাছাড়া গত সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসাবে আমি জাতি সংঘের অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলাম। তখন সিলেট-২ আসনে আমার দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছি। তিনি আমাকে জনগণের কাছে যাওয়ার এবং তাদের জন্য কাজ করার পরমর্শ দিয়েছেন। আমার ব্যাপারে তিনি যে ভালো অবগত তাও জানিয়েছেন।’

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘সেই হিসাবে আমি আশাবাদী যে, তিনি এবার আমাকে নৌকার প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দিবেন। দলীয় মনোনয়ন পেলে জনগন আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’

নির্বাচিত হলে এলাকার দলমত নির্বিশেষ সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি রিক্ত মানুষ হলেও নির্বাচনী এলাকার মানুষের সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক। আমি নিয়মিত এলাকায় যাতায়াত করি এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। তাদের সুখ দুঃখে সবসময় পাশে ছিলাম আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।’

জগলু চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন এলে একটি দল থেকে একাধিক ব্যক্তি মনোনয়ন চান। এটা খুবই স্বাভাবিক। তবে শেষ পর্যন্ত নেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তিনি যাকে মনোনয়ন দেন সবাই তাঁর জন্য কাজ করেন।’ 

নিজের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘সেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকে আওয়ামী লীগের মিছিল সমাবেশে যোগ দিতাম। কলেজ জীবনে এমসি কলেজ ছাত্রলীগে নেতৃত্ব দিয়েছি। এরপর ১৯৯৭ সালে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও ২০০২ সালে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। ১৫ ফেব্রুয়ারির তথাকথিত নির্বাচনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার কারণে কারাবরণ করেছি। ২০০৭ সালে মঈন উদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকারের আমলেও কারাবারণ করতে হয়েছে। নেত্রীকে গ্রেপ্তার করায় যে তুমুল আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, তখনও রাজপথেই ছিলাম। দলের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসাবে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছি, আগামীতেও সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।’ 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে সংসদসদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী। এরপর ২০১৪ এবং ২০১৮ সালেও তিনি মনোনয়ন চেয়েছিলেন কিন্তু পাননি। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি বর্তমানে যেভাবে নতুন এবং তরুণ নেতৃত্বের উপর ভরসা করছেন, সে কারণে আমি নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’

মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা শেখ শহিদুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাকির হোসেন চৌধুরী, ওসমানী নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের গোলাম কিবরিয়া, হাজী আব্দুল মছব্বির, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মনির হেলাল, শহিদুর রহমান শহিদ, আখতার আহমদ মিনছার, সেবুল আহমদ, শাহ জামাল আহমদ শায়েস্তা আল নোমান, মতিন জায়গীরদার, জয়নাল আবেদীন, জেদ্দা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম, ওসমানী নগর উপজেলা খেলোয়াড় কল্যাণ সংস্থার সভাপতি আক্তার আলী, ওসমানী নগর উপজেলা যুবলীগ নেতা, শেখ আসাদুর রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা নজির হোসেন লাহিন, সাবেক ছাত্রনেতা তাজেল আহমদ চৌধুরী, অল ইউরোপিয়ান বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য আব্দুস কালাম রুহেল ও মান্না চৌধুরীসহ বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড শাখার নেতৃবৃন্দ।


এএফ/১৬