সিলেট মিরর ডেস্ক
নভেম্বর ১০, ২০২৩
১১:০০ অপরাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ১০, ২০২৩
১১:০০ অপরাহ্ন
জাতীয় নুন্যতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, চা শ্রমিকদের স্বার্থ বিরোধী গেজেট বাতিল, চা শ্রমিকদের ভূমির অধিকার নিশ্চিত করা ও দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা নির্ধারণ, জাতীয় পরিষেবা বিল ২০১৩ বাতিলসহ নানা দাবিতে সিলেটে শ্রমিক সমাবেশ করেছে জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ সিলেট জেলা শাখা।
আজ শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বেলা তিনটায় নগরের ঐতিহ্যবাহী কোর্ট পয়েন্টে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা, জাতীয় নুন্যতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, চা শ্রমিকদের স্বার্থ বিরোধী গেজেট বাতিল, চা শ্রমিকদের ভূমির অধিকার নিশ্চিত করা ও দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা নির্ধারণ, জাতীয় পরিষেবা বিল ২০১৩ বাতিল এবং গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ২৫ হাজার ঘোষণা ও শ্রমিক হত্যার বিচার সহ ১১দফা দাবি তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল রায়ের সমাবেশে সভাপতিত্ব এবং গণতান্ত্রিক শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব সুশান্ত সিনহা সুমনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রবীণ শ্রমিক নেতা ও জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মনজুরুল আহসান খান, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জহিরুল ইসলাম, শামীম ইমাম, সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটি, এ এ এম ফয়েজ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন, কেন্দ্রীয় কমিটি, আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, উপদেষ্টা, চা শ্রমিকদের ১০ দফা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটি, অপু দাস গুপ্ত, আহবায়ক, গনতান্ত্রিক শ্রমিক আন্দোলন, কেন্দ্রীয় কমিটি,জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশ সিলেট জেলার সভাপতি সিরাজ আহমদ, চা শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক হৃদেশ মুদি, চা শ্রমিকদের ১০ দফা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির কেন্দ্রীয় আহবায়ক সবুজ তাতী, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশ সিলেট জেলার সভপতি বিরেন সিং প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘একদিকে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে মালিকদের প্রহসন আরেকদিকে চা শ্রমিকদের স্বার্থ বিরোধী গেজেট প্রতিটা ক্ষেত্রেই শ্রমিকদের স্বার্থ লঙ্ঘিত হচ্ছে। মালিক শ্রেণীর ইন্ধনে নির্বিচারে পুলিশের গুলিতে শ্রমিক হত্যা আজ আন্দোলন দমনের হাতিয়ার আকারে পরিণত হয়েছে।’ তারা বলেন, ‘দীর্ঘ পাঁচ বছর পর মূল্যস্ফীতির এই বাজারে গার্মেন্টস শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য বেতন ২৫ হাজার টাকা করার দাবি করেছিল অথচ নতুন ঘোষিত মজুরি কাঠামোতে শ্রমিকদের দাবির সঙ্গে ‘প্রহসন’করা হয়েছে।’
সরকার ও মালিকপক্ষের ঘোষিত বর্তমান নতুন গ্রেডিং নিয়মের বেতন কাঠামো দক্ষ শ্রমিকদের জন্য প্রহসনের শামিল মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, ‘ পূর্বের মজুরি অনুযায়ী ইনক্রিমেন্টসহ সিনিয়র অপারেট শ্রমিকের মজুরি ১১ হাজার টাকার বেশি ছিল অথচ নতুন মজুরি কাঠামোয় গ্রেড ৪ অনুযায়ী তাদের মজুরি ১৩ হাজার ২৫ টাকা। এই ‘প্রহসনের’মজুরি কাঠামো প্রত্যাখ্যান করে শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে নির্বিচারে গুলি করে বিজিবি-পুলিশ।’ এ ন্যাক্কারজনক হত্যাকান্ডের বিচারের দাবি জানান তারা।
অবিলম্বে গুলি-হত্যা-হামলা-মামলা বন্ধ করে শ্রমিকদের ২৫ হাজার টাকা মজুরির দাবি মেনে নেয়ার আহ্ববান জানিয়ে তারা বলেন, ‘অনুরূপভাবে চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরিও এক ধরনের প্রহসন মাত্র যা চা শ্রমিকদের ১৭০ টাকা মজুরি সেই ইঙ্গিত বহন করে।’
এএফ/০২