নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ১৫, ২০২৩
০৮:৩৭ অপরাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ১৬, ২০২৩
০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন
তিন দফা দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সিমেবি) কর্মচারী পরিষদের উদ্যোগে এ কর্মসূচী পালন করা হয়।
আজ রবিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় চাকুরী স্থায়ীকরণ, বেতন-ভাতা নিয়মিত করণ ও কর্মস্থলে কর্মচারীদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিতকরণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সামনে ধর্মঘট অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
‘আর নয় আশ্বাস, এবার চাই বাস্তবায়ন’, ‘আর নয় প্রহসন, এবার স্থায়ীকরণ’, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় আমরা কেন না খেয়ে’, ‘মরতে হলে মরবো, অধিকার আদায় করবো’, ‘ক্ষুধা পেটে সেবা নয়, অধিকার চাই ভিক্ষা নয়’, ‘বেতন ভাতা ফিরিয়ে দিন, পরিবার নিয়ে বাঁচতে দিন’সহ এসময় নানা স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনরতরা জানান, প্রায় এক বছর যাবত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। নানা জটিলতার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দু’দফায় জনবল নিয়োগের জন্য সার্কুলার আবেদন করলেও নানা জটিলতায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি। আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন। দীর্ঘদিন যাবত বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বিষয়টি নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা: এ এইচ এম এনায়েত হোসেনের সাথে সাক্ষাৎ করলেও তিনি কেবল আশ্বস্তই করে যাচ্ছেন।
সিমেবি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুহিন চৌধুরী জানান, ৩ দফার বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাব। আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচীর ডাকা দেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন। তিনি সফল রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন।
দাবিগুলো হল, নিঃশর্তে সকল পর্যায়ের কর্মচারীদের চাকুরী স্থায়ী করণ করতে হবে। প্রায় ১ বছর যাবত বেতন বন্ধ থাকায় কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাই অনতিবিলম্বে সকল বকেয়া বেতন-ভাতাদি পরিশোধসহ বেতন-ভাতা নিয়মিত করণ করতে হবে। কর্মস্থলে কর্মচারীদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অবিলম্বে নিজস্ব স্থায়ী জায়গায় স্থানান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এএফ/০৮