নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ২১, ২০২৩
১০:২৫ অপরাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ২১, ২০২৩
১০:২৫ অপরাহ্ন
-ফাইল ছবি
পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার (২১ আগস্ট) থেকে সিলেটের সব বন্দর দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি শুরু হয়েছে। এর আগে রবিবার বিকেলে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সাথে সিলেটের আমদানিকারকদের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ফের আমদানি শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।
জানা যায়, পাথর ও চুনাপাথর আমদানিতে এসেসমেন্ট ভ্যালু ২ ডলার বাড়ানোর প্রতিবাদে গত বুধবার থেকে সিলেট বিভাগের সব স্থল বন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করে দেন আমদানিকারকরা। সিলেটের বন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলোতে দিয়ে মূলত বড় পাথর (বোল্ডার) ও চুনাপাথর আমদানি হয়। কয়েকটি শুল্ক স্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানি হয়। ফলে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করে দেয়ায় অচল হয়ে পড়েছে স্থল বন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলো। আমদানি বন্ধে বিপাকে পড়েন শ্রমিকরা। আর সরকারও হারায় রাজস্ব।
এ অবস্থায় বুধবার সিলেটে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে বসেন আমদানিকারকরা। বৈঠকে এসেসমেন্ট ভ্যালু ২ ডলারের পরিবর্তে ৭৫ সেন্ট বাড়ানোর ব্যাপারে সম্মত হন কাস্টমস কর্তকর্তা। এরপর আমদানি শুরুর সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার থেকে যথারীতি আমাদানি শুরু হয়।
সোমবার দুপুরে তামাবিল স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, বন্দরে ফিরে এসেছে আগের কর্মচাঞ্চল্য। বন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে পাথরবাহী ট্রাক। পাঁচদিন পর কাজে ফিরতে পেরে খুশি শ্রমিকরাও।
তামাবিল চুনা পাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপে জানিয়েছে, কাস্টমসের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে চুনাপাথরের ডিউটি (ইম্পোর্ট অ্যাসেসম্যান্ট রেট) সাড়ে ১১ ডলার থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ১৩ ডলার এবং বড় পাথরের (বোল্ডার) রেট ১১ ডলার বাড়িয়ে ১৩ ডলার করার কথা জানানো হয়েছে। এ কারণে ট্রাক প্রতি ব্যয় ১২ থেকে ১৩শ’ টাকা বেড়ে যাবে। তাই আমরা আমদানি বন্ধ করেছিলাম।
তামাবিল চুনা পাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপে সভাপতি লিয়াত আলী সিলেট মিরর-কে বলেন, ‘আমদানি বন্ধ হওয়ার পর রবিবার কাস্টমস কর্মকর্তারা আমাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে এসেসমেন্ট ভ্যালু ২ ডলারের জয়গায় ৭৫ সেন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। এরপর আমরা আমদানি শুরুর সিদ্ধান্ত নেই। আজ দুপুর থেকে যথারীতি আমদানি শুরু হয়েছে।’
এ ব্যাপারে কাস্টমসের সিলেট অঞ্চলের ডেপুটি কমিশনার সোলাইমান হোসেন বলেন, এসেমেনট ভ্যালু বাড়ানোর সিদ্ধন্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে নেওয়া হয়েছিল। তবে ব্যবসায়ীদের আপত্তির মুখে এটা পুণর্বিবেচনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগের ৮৪ টাকার পরিবর্তে এখন ডলারের মূল্য ১০৯ টাকা। ডলারের মূল্যস্ফীতির কারণেই শুল্ক বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, সিলেট বিভাগে তামাবিল স্থলবন্দর ছাড়া আরো ১২টি শুল্ক স্টেশন রয়েছে। সেগুলো হলো কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ, সুনামগঞ্জের বাগলি, বড়ছড়া ও চারাগাও এবং ছাতকের ইছামতি ও চেলা স্টেশন। এগুলো দিয়ে মূলত চুনাপাথর ও বোল্ডার আমদানি হয়।
এএফ/০৮