৫ হাজার ঋণ নিলে কোমরে দড়ি, বড় ঋণ খেলাপিদের ধরা যায় না : আপিল বিভাগ

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুলাই ৩১, ২০২৩
০৯:২৩ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ৩১, ২০২৩
১১:০০ অপরাহ্ন



৫ হাজার ঋণ নিলে কোমরে দড়ি, বড় ঋণ খেলাপিদের ধরা যায় না : আপিল বিভাগ

- ফাইল ছবি


‘গরিব-কৃষকরা ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিলে কোমরে দড়ি পড়ে, অথচ বড় বড় ঋণ খেলাপিদের ধরা যায় না। বড় ঋণখেলাপিরা ঋণ পরিশোধ না করে শত শত কোটি টাকা খরচ করে, ঋণ পরিশোধ প্রক্রিয়া ঠেকানোর জন্য বড় বড় আইনজীবী নিয়োগ করেন।’ 

আজ সোমবার (৩১ জুলাই) সোনালী ব্যাংকের ঋণ খেলাপির এক মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ এ মন্তব্য করেন। অপর দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম। 

এ দিন আদালতে নারায়ণগঞ্জের এক ব্যবসায়ীর ঋণ পরিশোধ  না করার আবেদনের ওপর শুনানি হয়। ব্যবসায়ীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম। সোনালী ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শামীম খালেদ আহমেদ।

ব্যারিস্টার শামীম খালেদ আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি  জানান, ১৯৯৭ সালে ফজলুর রহমান অ্যান্ড কোংয়ের প্রতিষ্ঠানের নামে সোনালি ব্যাংকের মতিঝিল আঞ্চলিক শাখা থেকে ৩২ কোটি টাকা ঋণ নেয়। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফজলুর রহমান মারা গেলে ঋণ আদায়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে সোনালী ব্যাংক। পরে সুদসসহ ঋণ পরিশোধের অংক বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় দেড়শ কোটি টাকা। দেড়শ কোটি টাকার বিপরীতে ২৬ বছরে মাত্র ৫ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জেনে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ।

শামীম খালেদ আহমেদ আরও জানান, মামলার বিস্তারিত জেনে ব্যবসায়ীর পক্ষের আইনজীবীকে এক হাত নেন সর্বোচ্চ আদালত। একই সঙ্গে ঋণ পরিশোধ না করার আবেদন খারিজ করে ঋণ পরিশোধের আদেশ দেন আপিল বিভাগ। সূত্র: প্রতিদিনের বাংলাদেশ


এএফ/০৩