নাজির বাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৫ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক


জুন ০৮, ২০২৩
০৬:০৩ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ০৮, ২০২৩
০৬:৩৭ অপরাহ্ন



নাজির বাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৫ জন


সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নাজির বাজারে ট্রাকের সঙ্গে ও শ্রমিক বহনকারী পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুন) ভোরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজন মারা যান। 

নিহতের নাম বাদশা মিয়া (২২)। তিনি দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের দাসহাটি বাড়িরর মায়েদ নূরের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসমানী হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে বাদশা মিয়ার মৃত্যু হয়েছে।’

গতকাল বুধবার (৭ মে) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকার কুতুবপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

সিলেট থেকে পিকআপে ভ্যানে ৩০ জন নির্মাণ শ্রমিক জেলার ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারে যাচ্ছিলেন। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে তাদের পিকআপ পৌঁছলে মুনশীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী বালু বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ১১ জন শ্রমিক। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরও ৪ জন।

দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গচিয়া গ্রামের বারিক উল্লার ছেলে মো. সিজিল মিয়া (৫৫), পাথারিয়া গ্রামের মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে একলিম মিয়া (৫৫), আলীনগর গ্রামের মৃত শিশু মিয়ার ছেলে হারিছ মিয়া (৬৫), ভাটিপাড়া গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে সৌরভ মিয়া (২৭), ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত মফিজ মিয়ার ছেলে সায়েদ নূর (৫০), মধুপুর গ্রামের শাহজাহানের ছেলে বাদশা মিয়া (২২), মধুপুর গ্রামের সাধু মিয়া (৫০), ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত সজিব আলীর ছেলে রশিদ আলী (২৫) ও ভাটিপাড়া গ্রামের শমসের নুরের মেয়ে মেহের (২৪), সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার বাবনগাঁ গ্রামের মৃত ওয়াহাব আলীর ছেলে শাহীন মিয়া (৪০),  মুরাদপুর গ্রামের মৃত হারুন মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (২৬) ও তলেরতন গ্রামের মৃত আওলাদ উল্লার ছেলে আওলাদ হোসেন (৬০); হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার হলদিউড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী আমিনা বেগম (৪৫) এবং নেত্রকোনার ভারহাট্টা উপজেলার দশদার গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে আওলাদ মিয়া (৩০) এবং আজ মারা যান দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মায়েদ নুরের ছেলে বাদশা (২২)।

নিহত সবাই নির্মাণ শ্রমিক। তারা  দৈনিক মজুরীতে বাসার ছাঁদ ঢালাইয়ের কাজ করতেন। বুধবার ভোরেও তারা বাসার ঢালাই কাজের জন্য সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যেই দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।


এএফ/০২